ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে এবার ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

কুমিল্লার লাকসামে ডিজিটাল হেলথ কেয়ারে কর্মরত এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ওই চেম্বারের মালিক ডা. মীর হোসেনকে আটক করেছে।

আজ বুধবার দুপুরে কুমিল্লা র‌্যাব-১১ কোম্পানি কমান্ডার প্রণব কুমারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট এবং বিভিন্ন অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্যসহ তাকে আটক করা হয়। চাকরি দেওয়ার নাম করে এর আগেও ওই চেম্বারে অসংখ্য নারীকে সে ধর্ষণ করেছে।

অভিযানকালে তার চেম্বার থেকে বিপুল পরিমান যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, কনডমসহ বিভিন্ন অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্য উদ্ধার করা হয় বলে র‌্যাব জানায়।

সে পৌর শহরের বাইনচাটিয়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১ এর নিকট লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহরের জংশন এলাকায় ডিজিটাল হেলথ কেয়ারে কর্মরত জোসনা (ছদ্মনাম) চার মাস যাবৎ স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই হেলথ কেয়ারের মালিক মীর হোসেন চাকরির শুরু থেকে তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কিন্তু তিনি চাকরি রক্ষা ও জীবিকা নির্বাহের স্বার্থে সবকিছু সহ্য করে আসছিলেন।

এক পর্যায়ে ডাঃ মীর হোসেন তাকে ধর্ষণ করে। গত চার মাসে অন্তত ৩০ বারের অধিক ধর্ষণ করে। প্রতিবার ধর্ষণ করার পর তার শরীরে ব্যথানাশক অজ্ঞাত একটি ইনজেকশান পুশ করতো। ধর্ষণের পর মীর হোসেন তাকে হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কেউ জানতে পারলে তাকে চাকুরিচ্যুত করে মিথ্যা মামলা দিবে বলে ভয় দেখায়।

দ্ররিদ্র ও অসহায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় তার এ নির্যাতন সহ্য করে আসছিলেন। কিন্তু দিন দিন তার অত্যাচার বেড়ে চলায় নিরূপায় হয়ে গত সোমবার কুমিল্লা র‌্যাব-১১ এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, ডাঃ মীর হোসেন একইভাবে তার চেম্বারে বহু নারীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ করেছে। তার হুমকির কারণে কেউ মুখ খোলার সাহস করেনি। এছাড়া ভূয়া ডাঃ মীর হোসেনকে বেশ কয়েকবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালান করে তার ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিছুদিন পর আবার সে কৌশলে চেম্বার খুলে তার পুরনো অপকর্ম অব্যাহত রাখে।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১ কোম্পানী কমান্ডার প্রণব কুমার জানান, ওই নারীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমরা লাকসাম ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের মালিক ডাঃ মীর হোসেনের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, বিপুল পরিমাণ কন্ডমসহ বিভিন্ন অবৈধ নেশাজাতীয় দ্রব্য পাওয়া যায়। সে কোন ডাক্তার নয়। সে চাকরি দেওয়ার নামে এই চেম্বারে অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করেছে। তাকে ও তার চেম্বারে কর্মরত অপর এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুমিল্লা র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print