ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পানি বন্দি দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্তত ১০ লক্ষাধিক মানুষ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

দক্ষিণ চট্টগ্রামে বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। তবে পানি নামার গতি অনেক কম হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলার দেওয়ানহাট হাসিমপুরের মধ্যবর্তী স্থান পাঠানিপুল এলাকায় তলিয়ে যাওয়া সড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ায় যান চলাচল শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া পানি কমেছে চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়কেও। তবে সড়কের ওপরে এখনো পানি থাকায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু প্রভাবশালী মহল পানি নামার উৎসগুলো বন্ধ করে রাখায় পানি নামতে দেরি হচ্ছে।

কেরানীহাট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক পরিচালক হামিদুল ইসলাম জানান, গতকাল সন্ধ্যা থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে অন্য এলাকাগুলোর মধ্যে শুধু সাতকানিয়াতেই কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনবি) মোবারক হোসেন জানান, আজ সোমবারও সাতকানিয়ার বানভাসি মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে। বন্যার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সাতকানিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলোর চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ৬৫ টন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আরো বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর সহকারী একান্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, এমপি নদভীর নির্দেশে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ চলছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আজ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রাণ বিতরণে নামছে আওয়ামী লীগ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হবে বলে জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী।

সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানান, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম খুবই কম। ত্রাণ তৎপরতা আরো বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।

এদিকে, ভারি বর্ষণ না হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও আনোয়ারা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। অনেক উঁচু জায়গা থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। তবে এখনো অনেক জায়গায় তলিয়ে যাওয়া রাস্তা ভেসে না ওঠায় অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।

গত কয়েক দিনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, লোহাগাড়াসহ আশপাশের এলাকায় পানিবন্দি ছিলেন অন্তত ১০ লক্ষাধিক মানুষ। এর মধ্যে শুধু সাতকানিয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েন অন্তত চার লক্ষাধিক মানুষ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print