কক্সবাজার পর্যটন এলাকার কলাতলী, লাইট হাউস ও সৈকত পাড়ার কটেজে বেপরোয়া পতিতা ও ইয়াবা ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে।
এ সময় ৪৭ পতিতা ও খদ্দের, দালাল, ম্যানেজারসহ ৭৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকাল ও রাতে এ পৃথক অভিযান চালায় থানা পুলিশ।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) খায়রুজ্জামান বলেন, নানা অপকর্মের খবরে কটেজ জোনে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু অনেক কটেজ মালিক অভিযানের খবর জানতে পেরে বাইরে তালা দিয়ে ভেতরে অপকর্ম চালায়। এ সময় তালা ভেঙে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখতে পায় নানা অপকর্মের দৃশ্য।
এ অপকর্মের স্থান থেকেই পতিতা, দালাল, খদ্দের ও ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টদের আটক করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, এ অভিযান ধারাবাহিকভাবে চলবে। কেউ অপকর্ম করে রেহাই পাবে না। এদিকে যেসব কটেজে অভিযান হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- মান্নানের পরিচালনাধীন নতুন সবুজ কটেজ, ইসমাইলের আমির ডিম কটেজ, আসিফের ঢাকার বাড়ি-২, ইয়াবা ও মানবপাচার মামলার আসামি মিজান ও সোহেল দুই ভাইয়ের সি-ফ্লাউয়ার ও শাহেনা কটেজ, মানবপাচার মামলায় জেলে থাকা শহীদের শারমিন কটেজ, কবিরের সি-ল্যান্ড কটেজ, জাব্বারের ঢাকার বাড়ি, জয়নালের পরিচালনাধীন সাজ্জাদ ইলেক্ট্রনিকের কটেজ, ইয়াবার মামলায় জেলে থাকা নাছিরের ভাইয়ের পরিচালনাধীন দারুল ইহসান কটেজ, শাহাব উদ্দিনের রাজিউন কটেজ, জাহাঙ্গীরের পরিচালনাধীন শাকিল কটেজ, লালুর সি-গ্রিন, সোহানের সোহান কটেজ, দিদারের মেঘালয় কটেজ ও বর্তমানে ইয়াবার মামলায় জেলে থাকা আরমানের রিসান কটেজ, ইউরেকা গেস্ট হাউস, স্বপ্নবিলাস গেস্ট হাউস, কোহিনূর রিসোর্ট, জাহান গেস্ট হাউস, এম আজিজ কটেজ, কলাতলীর ডলফিন মোড়স্থ মানবপাচার মামলার আসামি ও পতিতা ব্যবসায়ী ফয়েজ উদ্দিন ও আবু তালেবের আল কক্স ও সায়েম কটেজ, গাজীপুর রিসোর্ট।