ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মেয়েকে দেখতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত হন বাক প্রতিবন্ধী সিরাজ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গণপিটুনিতে নিহত সিরাজ বাক প্রতিবন্ধী ছিলেন এবং চলে যাওয়া স্ত্রীর সঙ্গে থাকা মেয়েকে গোপনে দেখতে গিয়ে হামলার শিকার হন।

সিরাজ মারা যাওয়ার পর তার ভাই এবং এলাকাবাসী এ তথ্য জানিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদও বলেছেন, বাক প্রতিবন্ধী ওই যুবককে ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “যারা এই গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

শনিবার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাগলাবাড়ির সামনে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে সিরাজকে (৩০) হত্যা করে এলাকার লোকজন। রাতে তার স্বজনরা থানায় গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।

রবিববার সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো গেইট বটতলায় জানাজার জন্য রাখা সিরাজের লাশের পাশে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তার ছোট ভাই আলম।

তিনি বলেন, আট মাস আগে অন্য একজনের সঙ্গে সিরাজের স্ত্রী পালিয়ে যান। এরপর থেকে প্রতিদিন মেয়ের সন্ধানে ছিলেন তিনি। দুই মাস আগে মিজমিজি আলামিন নগর এলাকায় কাজ করতে গিয়ে রাস্তায় মেয়েকে দেখতে পান সিরাজ। সেই থেকে ৩-৪ দিন পরপর সকালে স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় মেয়েকে দেখতে যেতেন।

শনিবার নিজের কাছে টাকা না থাকায় একটি মোবাইলের দোকান থেকে ১০০ টাকা ধার করে মেয়ের জন্য বিস্কুট, চিপস ও চুড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

সিরাজের স্ত্রী তার বর্তমান স্বামীকে দিয়ে ‘মানুষকে ভুল বুঝিয়ে সিরাজকে হত্যা করিয়েছেন’ বলে আলমের অভিযোগ।
সিরাজদের গ্রামের বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলার মুগিয়া বাজার এলাকায়। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে বড় তিনি। রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন বাক প্রতিব্ন্ধী এই যুবক।

আলম জানান, ১০ বছর আগে তার ভাইয়ের বিয়ে হয়। গ্রামে কাজ না পাওয়ায় ২০১৫ সালে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে আসেন সিরাজ।
সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলোগেইট এলাকায় মোহর চানের বাড়িতে ভাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। নিজে কখনও রাজমিস্ত্রির সহকারী আবার কখনও দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। স্ত্রী বাসা বাড়িতে গৃহস্থালি কাজ করতেন।

“আট মাস আগে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ভাবি অন্য লোকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। পরে ভাইয়ের কাছে তালাকনামা পাঠান।”
ওই এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন বলেন, বোবা হলেও সিরাজ ইশারায় সব কথা বলতে পারতেন।

“আমাদের বুঝতে কষ্ট হলেও সবই বুঝতাম। মোখলেসের মোবাইলের দোকান থেকে টাকা নেওয়ার সময় আমি সামনে ছিলাম। তখন নিজেই হাতের ইশারা বুঝিয়েছে, মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে। মেয়েকে দেখতে যাবে তাই অনেক খুশি ছিল সিরাজ।
“কিন্তু মানুষ এমন নির্মম ভাবে হত্যা করতে পারল!”

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীন শাহ পারভেজ জানিয়েছেন, শনিবার সকালে দলবেঁধে পিটুনিতে সিরাজ নিহত হওয়ার পাশাপাশি পাশের এলাকায় আরেক তরুণী আহত হন। এই দুই ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে। দুই মামলায় অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print