ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আলোচিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দিদারুল আলম মাসুম দুইদিনের রিমান্ডে

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া নগরীর লালখান বাজার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলোচিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দিদারুল আলম মাসুমকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলায় মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) মাসুমকে আজ সোমবার (৫ আগষ্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেম মো. নোমান আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায়।

অপর দিকে শাররীক অসুস্থতার কথা বলে মাসুমের আইনজীবিরা তার জামিনের আবেদন করে।  আদালত উভয়ের বক্তব্য শুনে জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, যেহেতু মাসুমের আইনজীবিরা তার অসুস্থ্যতার বিষয়টি আদালতকে জানান সেহেতু আদালত স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। আদালত থেকে মাসুমকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য গতকাল রাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রামের একটি টিম রাজধানী বনানী এলাকা থেকে এক সময়ের চট্টগ্রামের এই দুর্ধষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে আজ সকালে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে।

উল্লেখ্য দলীয় কোন্দলের জেরে তার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা ও লালখান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর এফএম মানিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বির্তকিত আওয়ামী লীগ নেতা ও এক সময়য়ের দুধর্ষ সন্ত্রাসী দিদারুল আলম মাসুমের দুটি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেছে।

.

দিদারুল আলম মাসুম মহানগরীর লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। গত ২২ জুলাই (সোমবার) তার প্রতিপক্ষ একই দলের নেতা ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এফ কবির মানিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সন্ত্রাসী মাসুমের দুটি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

পরে শনিবার দুপুরে দিদারুল আলম মাসুম নিজেই খুলশী থানায় উপস্থিত হয়ে তার অস্ত্র দুটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সময়ে (৯৬-২০০০) সালে মাসুম তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে লালখানবাজার এলাকায় জায়গা দখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০০১ সালে নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দিদারুল আলম মাসুম পালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে চলে যান। মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছে তার ব্যবসা-বাণিজ্যও। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ফের দেশে ফিরে আসেন মাসুম।

.

বিভিন্ন সময়ে তার নামে দায়ের হওয়া একাধিক মামলা সরকারের শীর্ষস্থানীয়দের সুপারিশ নিয়ে প্রতাহার করিয়ে নিতেও সক্ষম হন মাসুম। দীর্ঘদিন মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে থাকাকালীন সময়ে তার শক্ত অবস্থান গড়েন আরেক নগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ মাহমুদ।

দেশে ফেরার পর মাসুম তার হৃতরাজ্য ফিরে পেতে এবং এলাকার আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ফরিদ মাহমুদের সঙ্গে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন মাসুম। আধিপত্যের দ্বন্দ্বে তাদের মধ্যে একাধিকবার বন্দুকযুদ্ধও হয়েছে। কয়েক বছর আগেও মাসুম ছিলেন পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর একাধিক মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি পুলিশের তালিকা থেকেও নাম কাটিয়ে নেন মাসুম। শুধু তাই নয়, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়ে নিজ নামে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সও বাগিয়ে নেন তিনি।

চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের গ্রুপিং রাজনীতিতে নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক মেয়র মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রতিপক্ষ প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফসারুল আমিনের সঙ্গে যুক্ত দিদারুল আলম মাসুম। চট্টগ্রামের লালখানবাজার এলাকায় তার নিজের একটি ক্যাডার বাহিনীও গড়ে তোলে।

২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল নগরীর লালখান বাজার এলাকায় প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সমাবেশে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে গুলি করা করেছিল তৎকালিন যুবলীগ শীর্ষ সন্ত্রাসী ‍দিদারুল আলম মাসুম। পরদিন দেশের সকল জাতীয় দৈনিকে অস্ত্রহাতে গুলি করার মাসুমের সেই ছবি ছাপা হলেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

এরই মধ্যে মাসুম বাহিনীর হাতে তার নিজ দলের ৮ নেতাকর্মী নিহত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন পরপরই লালখান বাজার এলাকায় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসার সামনে দলীয় কোন্দলে খুন হন নগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন সুদীপ্তের বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাবুল। পরে গ্রেফতারকৃত আসামীদের স্বীকারোক্তিতে এ খুনের নেপথ্য গড়ফাদার হিসেবে দিদারুল আলম মাসুমের নাম প্রকাশ পায়।

এদিকে গত ২৯ জুন (শনিবার) লালখান বাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম ও নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আবুল হাসনাত বেলালের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিলো। ওই ঘটনায় মাসুমেরই এক অনুসারী আল আমিন বাদী হয়ে খুলশী থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেফতার করে।

* অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের পর এবার গ্রেফতার সন্ত্রাসী মাসুম

* অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মাসুমের দুটি অস্ত্রের লাইসেন্স অবশেষে বাতিল (ভিডিও)

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print