ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

প্রেমের ফাঁদে পড়ে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী বাংলাদেশে

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন মারদিয়ানা নামে এক ইন্দোনেশিয়ান তরুণী।

মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের চন্ডিবদ্দি গ্রামের কাজী এটিএম দাউদের ছেলে কাজী আহমাদুল হোসেন রাজনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তার।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। পরে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান দুজনে।

মারদিয়ানা ইন্দোনেশিয়ার পালু বোরাদ এলাকার কাহারুদ্দিন ও মোলি দম্পতির মেয়ে। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন।

জানা গেছে, মারদিয়ানার সঙ্গে ২০১৩ সালে ফেসবুকে পরিচয় হয় শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভার লোনসিং গ্রামের মো. সেলিম খালাসীর সঙ্গে। পরে মারদিয়ানা ও সেলিমের মধ্যে ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এরই মধ্যে ২০১৬ সালে মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের চন্ডিবদ্দি গ্রামের কাজী এটিএম দাউদের ছেলে কাজী আহমাদুল হোসেন রাজনের সঙ্গে প্রথমে ফেসবুকে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব হয় মারদিয়ানার।

পরে বন্ধুত্ব থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

আর সেই টানেই বাঙালি তরুণের কাছে ছুটে আসেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী মারদিয়ানা।

মারদিয়ানার পাতানো ভাই সেলিম খালাসী বলেন, মারদিয়ানা আমাকে ধর্মের ভাই ডেকেছে। আমারা ভাই-বোন। সম্পর্কটা আমার পরিবারও মেনে নিয়েছে।

তিনি বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম পরিবারের সন্তান মারদিয়ানার সঙ্গে মাদারীপুরের রাজনের পরিচয় হয়। তিনি আমাদের দেশ ও কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে আমার কাছ থেকে জানেন।

তাছাড়া রাজনের পরিবার সম্পর্কে সব কিছু জেনে গত ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন মারদিয়ানা।

৩০ এপ্রিল ঢাকা কোতোয়ালি কোর্ট হাউস স্ট্রিট বার ভবনে মারদিয়ানা-রাজনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এক সপ্তাহ থেকে ইন্দোনেশিয়া চলে যান মারদিয়ানা।

আবার ২১ আগস্ট রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন মারদিয়ানা। পরে বিকেলে তাকে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর নড়িয়া পৌরসভার লোনসিং নিয়ে আসি।

২৩ আগস্ট (শুক্রবার) জাকজমকপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমার বাড়ি নড়িয়া লোনসিং থেকে মারদিয়ানাকে রাজনের হাতে তুলে দেই।

অনুষ্ঠানে নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ, ওসি (তদন্ত) আবু বকর মিয়া, নড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শহিদুল ইসলাম সরদারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ি বলেন, প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী বাংলাদেশে চলে এসেছেন। নড়িয়াতে তাদের অনুষ্ঠানে এসে বেশ ভালো লাগলো। নড়িয়াতে এই প্রথম এমন অনুষ্ঠানে যোগ দিলাম। দোয়া করি তাদের বিবাহিত জীবন সুখের হোক।

মারদিয়ানা জানান, রাজনের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। রাজনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানিয়ে এসেছেন। এ দেশের মানুষের আতিথেয়তায় ও ভালোবাসায় মুগ্ধ বলেও জানান মারদিয়ানা।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print