
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই শিক্ষককে প্রশাসনিক দায়িত্ব দেয়ার প্রতিবাদে অনশন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইফতেখার উদ্দিন আয়াজ।
শিক্ষক দুজন হলেন- অধ্যাপক ড. রাহমান নাসির উদ্দিন ও সহকারী অধ্যাপক ড. হানিফ মিয়া।
আজ বুধবার বিকেল ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে অনশন শুরু করেন তিনি। কিন্তু বিকেল ৪টার দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরীর আহ্বানে অনশন তুলে নেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তার কার্যালয়ে অনশনকারী ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে আলোচনা করেন।
অনশনকারী ইফতেখার উদ্দিন আয়াজ জানান, ওই দুই শিক্ষক গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ‘কটূক্তিকারী’ সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামের পক্ষে মানববন্ধন করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই শিক্ষক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলাও করেছিলেন অনশনকারী এ ছাত্রলীগ নেতা।
অনশন পালনকারী আয়াজ বলেন, ‘সম্প্রতি ড. রাহমান নাসির উদ্দিনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালক এবং ড. হানিফ মিয়াকে সহকারী প্রক্টর পদে নিয়োগ দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। অথচ এই দুই শিক্ষক প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তিকারী মাইদুল ইসলাম ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছিলেন। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এদের দুইজনকে প্রশাসনিক দায়িত্ব দিয়েছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন কর্মকাণ্ড শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রতারণার শামিল। ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আমি এটা কখনোই মেনে নিতে পারি না।’
এক ঘণ্টার মধ্যে অনশন তুলে নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রক্টর স্যার এসেছেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। তাই আজকের মতো অনশন তুলে নিয়েছি। কাল ফের অনশনে বসবো।’