
আলমগীর মানিক,রাঙামাটিঃ
পার্বত্য জেলা রাঙামাটি শহরেও ক্যাসিনোর আদলে চলা ক্লাবগুলোতে প্রশাসনের অভিযান শুরু হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের তিনটি টিম শহরের নাম করা জুয়ার আসর বসানো নাইট ক্লাবগুলোতে হানা দেয়। এ অভিযানে শহরের ট্রাইবেল আদাম এলাকার ব্রাদার্স স্পোটিং ক্লাব থেকে ক্ষমতাসীন দলের প্রথমসারির এক নেতা ও একজন কাস্টমস ইন্সপেক্টরসহ ১১ জন ও রিজার্ভ বাজারের রাইজিং স্টার ক্লাব থেকে একজনসহ মোট ১২জনকে অর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ক্লাবগুলোতে অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত অনেকেই দৌড়ে, কেউ কাপ্তাই লেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে জুয়া ও মদ্যপানরত অবস্থায় আটক ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয় এবং বিভিন্ন প্রকার দেশীয় ও বিদেশী মদ, জুয়া খেলার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

অভিযানে ব্রাদার্স ক্লাবে অর্থ দন্ডে দন্ডিতরা হলেন: সুদত্ত চাকমা, রাখাল দাশ, সেকান্দর আলী, চন্দন দে, জমির উদ্দিন, মনিময় দেওয়ান, রাজেশ চাকমা, পূরনজয় চাকমা, সূর্যদেব চাকমা, জুনু চাকমা, পিংকু চাকমা।
দন্ডিতদের মধ্যে ছুটিতে রাঙামাটিতে এসে জুয়ার আসরে বসা এক কাষ্টমস ইন্সপেক্টর জুনু চাকমা ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জমির উদ্দিনের নামও ছিলো। অন্যদিকে রাইজিং স্টার ক্লাবে অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয় প্রভাকর বড়ুয়া নামের একজনকে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব হোম দাশ জানান, জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। প্রকাশ্যে বঙ্গীয় জুয়া আইন ১৮৬৭’র ৪ ধারায় এদের জরিমানা করা হয়।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ এবং পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবীর এর নির্দেশনা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ছুফি উল্লাহ’র প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পল্লব হোম দাশ, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফুল ইসলাম ও রাঙামাটি ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে একযোগে সবক্লাবে এই সাড়াঁশি অভিযান পরিচালিত হয়।