
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, সরকার এতদিন জুয়া আর ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করে আসলেও এখন ভাগ ভাটোয়ারার সমস্যা হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করছে। জুয়া ও ক্যাসিনোর মূলহোতাদের গ্রেফতার করতে হবে। চুনোপুঁটি ধরে লাভ হবে না, তাদের গডফাদারদের ধরতে হবে। সরকার শুধু জুয়াড়ি ধরে জাতির সামনে তামাশা করছে। জুয়ড়ি নয় আশ্রয় প্রশ্রয়ে এইসব পরিচালনা হচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে।
তিনি আজ ২৪ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার বিকালে নগরীর আমিন শিল্পাঞ্চল এলাকায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ শেষে নেতকর্মী ও উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারের মাথায় পচন ধরেছে এখন পায়ের চিকিৎসা করে কোন লাভ হবে না। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। লুটপাট, দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ ব্যাংকে টাকা নাই, পুজিবাজারে হাহাকার। রাষ্ট্রের টাকা লোপাট করে সরকারী দলের নেতাদের বাড়ি এখন এক একটি ব্যাংক এ পরিণত হয়েছে।
গণসংযোগ শেষে অসুস্থ আমিন শিল্পাঞ্চল ওয়ার্ড বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহসান উল্লাহ ও নগর যুবদলের সহ প্রচার সম্পাদক মাহবুবুর রহমানকে দেখতে যান এবং তাদের শারীরিক সুস্থতার খোজ খবর নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইসকান্দর মীর্জা, আর. ইউ. চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহশ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু মুসা, সহ প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হাই, পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, আমিন শিল্পাঞ্চল ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, নগর কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম মনু, নগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, এরশাদ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রুবেল, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল বাতেন, হাজী ওসমান, মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মো. ইসমাইল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহ আলম, ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. শফি, আবদুল গণি, মজিবুল হক মজু প্রমুখ।

গণসংযোগ শেষে অসুস্থ্য নগর যুবদলের সহ প্রচার সম্পাদক মাহবুবুর রহমানকে দেখতে তার বাসায় যান আবুল হাশেম বক্কর। এসময় তিনি মাহবুবুর রহমানের অসুস্থ্যতার খোঁজ খবর নেন।