বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, দেশবাসী এখন অত্যাচারী সরকারের বর্বর শাসনে অসহায় হয়ে পড়েছে। ভোটারবিহীন সরকারের নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণে দেশের মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত। আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা সারাদেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। দেশে এখন জংলী শাসন চলছে।
তিনি আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে ভোলায় নিরিহ মুসল্লী হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এতে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ভোলার বোরহান উদ্দীনে মহানবী (সঃ)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলিবর্ষণে চার জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। পুলিশের এমন মারমুখী আচরণ ও নিষ্ঠুরতা ক্ষমার অযোগ্য। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জবাবদিহি করতে হয় না বলেই সামান্য কিছুতেই নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা যেন এখন নিত্যদিনের ঘটনা। ভোলার হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সরকার ও প্রশাসন দুঃখ প্রকাশ না করে বরং হত্যার পক্ষে সাফাই গাইছে। প্রশাসন সুকৌশলে ভোলায় মানুষের প্রতিবাদকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার চক্রান্ত চালাচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী তার স্বভাবসুলভ ভাষায় প্রতিবাদকারীদের প্রতি হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারের আমলে স্বাধীন বাংলাদেশ এখন মৃত্যু উপাত্যাকায় পরিণত হয়েছে। চারিদিকে শুধু মুত্যুর মিছিল। একদিকে ছাত্রলীগ অন্যদিকে সরকারের আনুগত প্রশাসন মিলেমিশে এই হত্যাযজ্ঞের নেতৃত্ব দিয়ে চলছে। বিরোধী দল ও মতের কেউ রেহাই পাচ্ছে না। তিনি বলেন, ভোলায় মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা রাজপথে নেমেছিল বিচারের দাবিতে। তারা তো সরকার পতনের আন্দোলনে নামে নাই? তাহলে কাদের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং কার নির্দেশে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মিছিলে গুলি চালিয়ে চার মুসল্লিকে হত্যা করা হলো? দেশের মানুষ তা জানতে চায়? ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বেগম খালেদা জিয়াকেও তারা মিথ্যা বানোয়াট মামলায় সাজা দিকে কারান্তরিন করে রেখেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান, এস এম আবু ফয়েজ, কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, মনজুর আলম মনজু, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, সামশুল আলম (ডক), মো. সালাহ উদ্দিন, আবু জহুর, জহির আহমদ, শিহাব উদ্দিন মুবিন, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌ:, ফাতেমা বাদশা, মাঈন উদ্দিন মো. শহীদ, এইচ এম রাশেদ খান, হামিদ হোসেন, নুরুল আকবর কাজল, মোহাম্মদ আলী, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, আবদুল বাতেন, মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, কাউন্সিলর মো. আজম, মো. সেকান্দর, ড. নুরুল আবচার, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ সালাহ উদ্দিন কায়সার লাবু, আবদুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, মো. শাহজাহান, জেলী চৌধুরী, আজাদ বাঙালী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আবু মুসা, শফিক আহমদ, আবুল খায়ের মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবদুল হাই, আলী আজম, সালাহ উদ্দিন লাতু, জাকির হোসেন, মনির আহমেদ চৌধুরী, মো. শাহাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন জিয়া, হাবিবুর রহমান, আবদুল কাদের জসিম, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন, আলী ইউসুফ, সখিনা বেগম, শাহেদা বেগম, আলমগীর আলী, মহসিন আলী চৌধুরী, মো. ইলিয়াস, মো. মহসিন, সাইফুর রহমান শপথ, হাজী নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, গাজী আলাউদ্দিন, মনিরুজ্জামান মুরাদ, মনিরুল ইসলাম মনু।
