ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

‘তোর কারণে আমাদের ফাঁসি হয়েছে’ বলেই আদালতে সিরাজকে চড়-থাপ্পড়

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ফেনীর নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় শোনার পর ক্ষুব্ধ আসামিদের মধ্যে কেউ কেউ মামলার প্রধান আসামি ও নির্দেশদাতা সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করা শুরু করেন। এ সময় আসামিদের মধ্যে একজন জোরে জোরে গালি দিয়ে বলতে থাকেন, ‘তোর কারণে আমাদের ফাঁসি হয়েছে।’

আজ বৃহস্পতিবার ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে মামলার প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাসহ ১৬ খুনির সবার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সব আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

এর আগে বেলা ১১টা ৭ মিনিটে জনাকীর্ণ আদালতের এজলাসে এসে হাজির হন বিচারক। তিনি সংক্ষিপ্ত রায় পড়েন। রায়ের ফাঁসির পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। এই টাকা নুসরাতের পরিবারকে দেওয়ার কথা বলছেন আদালত। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নুসরাতের পরিবার ও তাঁর আইনজীবী। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আপিল করার কথা বলেছেন।

ফাঁসির আদেশ পাওয়া মামলার ১৬ জন হলেন—প্রধান আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ-উদ-দৌলা, দুই নম্বর আসামি ফেনী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. নূর উদ্দিন, তিন নম্বর আসামি মাদ্রাসার ফাজিলের ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামীম, চার নম্বর আসামি সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, পাঁচ নম্বর আসামি ছাত্রলীগকর্মী ও মাদ্রাসার ফাজিল বিভাগের ছাত্র মো. জোবায়ের, ছয় নম্বর আসামি চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ও মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী জাবেদ হোসেন, সাত নম্বর আসামি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক ও ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাফেজ আবদুল কাদের এবং আট নম্বর আসামি মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আফছার উদ্দিন।

ক্রমানুসারে অন্য আসামিরা হলেন মাদ্রাসার ফাজিল প্রথম বর্ষ ও ফেনী পলিটেকনিক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলনের সদস্য ও ছাত্রলীগকর্মী মো. শামীম, অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলনের সদস্য ও ফেনী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এমরান হোসেন মামুন, মাদ্রাসা শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ইফতেখার উদ্দিন রানা, অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা মুক্তি পরিষদ আন্দোলনের সদস্য ও ছাত্রদলকর্মী হিসেবে পরিচিত মহিউদ্দিন শাকিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিন, মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী উম্মে সুলতানা পপি ও মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী কামরুন নাহার মণি।

রায়ের আগে আজ সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ফেনী জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৬ আসামির সবাইকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পিনপতন নীরবতার মধ্যে বিচারক রায়ের কাজ শুরু করেন। রায় শোনার পর কাঠগড়াতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক আসামি। রায়ের পর পরই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আসামিদের প্রিজনভ্যানে করে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ আসামিকে ফাঁসির আদেশের পর কারাগারে নেওয়ার সময় মামলার প্রধান আসামিসহ অন্যদের প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। এ সময় তাঁদের কেউ কেউ কাঁদছিলেন। প্রিজনভ্যানে তোলার পর অন্যান্য আসামি সিরাজকে হঠাৎ করেই পেটাতে থাকেন। সে সময় তাঁকে বুকে-মুখে চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করেন।

সিরাজকে মারতে মারতে এ সময় আসামিদের কেউ কেউ বলতে থাকেন, ‘তোর কারণে আমাদের ফাঁসি হয়েছে।’

এ সময় আসামি মো. জোবায়ের, জাবেদ হোসেন, মো. শামীম, প্রভাষক আফছার উদ্দিন, হাফেজ আবদুল কাদের কান্নায় চিৎকার করতে থাকেন। তাঁরা বলতে থাকেন, আত্মহত্যাকে হত্যা বলা হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে আসামিদের শান্ত করেন। এরপর প্রিজনভ্যান চলা শুরু করে কারাগারের দিকে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print