চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা বলেছেন, আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই দূর্নীতি আছে তবে বর্তমানে পুলিশ সেক্টরে সবচে কম দূর্নীতি হয়। সাধারণ মানুষের ধারণা পুলিশে বেশি দূর্নীতি হয়। এটা ভুল ধারণা। অনেক সাংবাদিক ভাইকে দেখা যায় পুলিশের বিরুদ্ধে নেগেটিভ রিপোর্ট করতে। অথচ পুলিশ বাহিনী সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান।
অন্যান্য সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালে দেখা যায় যেখানে একজন ব্যক্তিই শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি করছে সেখানে পুলিশ বিভাগে অত দুর্নীতি হয় না। তবুও বদনামটা পুলিশের বেশি হয়। পুলিশের ভালো কাজগুলোর রিপোর্ট হয় না নেগেটিভটা রিপোর্ট হয়। আমি সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করব যে কোন বিষয়ে আরো গভীরে গিয়ে প্রকৃত সত্যটা তুলে ধরার জন্য।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম জেলা ট্রাফিক পুলিশের আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০১৯ উপলক্ষে ট্রাফিক কমিউনিটি পুলিশিং কর্তৃক ট্রাফিক সচেতনতা ও মাদক বিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বেলা ১১ টায় সীতাকুণ্ড জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় উক্ত আলোচনা সভায় তিনি আরো বলেন, মাদকের আগ্রাসন প্রতিরোধ ও অপরাধ দমন ও আইন মেনে মহাসড়কে গাড়ি চালালে এবং জনসাধারণ রাস্তা পারাপারা নিজেরা সচেতন হলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। পুলিশকে সহযোগিতার জন্য জনসাধারণের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন-জঙ্গী দমনে বর্তমান সরকার বেশি সফলতা অর্জন করেছে। তিনি গাড়ির ড্রাইভারদেরকে মাদক পরিহার করে সুস্থভাবে গাড়ি চালানোর আহবান জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) শম্পা রানী সাহা’র সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ উপজেলা কমিশনার জাহাঙ্গীর ভূইঁয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড পৌর মেয়র বীর মুক্তিযুদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলম, সীতাকুণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আফাজ উদ্দিন, সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হোসেন, টিআই চট্টগ্রাম (উত্তর) মোস্তাফিজুর রহমান, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী, টিআই সীতাকুণ্ড মোঃ রফিক আহমেদ মজুমদার, টিআই মীর নজরুল ইসলাম, টিআই (মীরসরাই) বিপুল পাল, সড়ক পরিবহণ শ্রমিক নেতা দিদারুল আলম প্রমূখ।
ট্রাফিক সচেতনতা ও মাদক বিরোধী উক্ত আলোচনা সভায় বিভিন্ন স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভার, গাড়ির মালিকসহ সমাজের বিভিন্ন পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
