
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটিকে ‘কলঙ্কযুক্ত’ আখ্যা দিয়ে একইদিনে ৫নং সহ-সভাপতির পদ থেকে ওহেদ কামাল ছিদ্দিক নামে এক নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নবগঠিত কমিটি ঘোষণার পর রাতে তার ফেসবুক ওয়ালে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে একটি স্ট্যাটাসও পোস্ট করেছেন। ফেসবুক ওয়ালে এ ঘোষণার পর অনেকই তার এ সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে আখ্যা দিয়ে শুভ কামনার কমেন্টসও করেন।
ছাত্রলীগ নেতা ওহেদ কামালের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
“আমি ওহেদ কামাল ছিদ্দিক মুছাপুর ছাত্রলীগের নব গঠিত কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হই। সকলের অবগতির জন্য জানিয়ে রাখতেছি আমরা যারা দলীয় পদ পদবীর জন্য দলের উপজেলা ছাত্রলীগের আহবান অনুযায়ী আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসাবে নিয়ম মোতাবেক সিভি জমা করি। রাজনৈতিক ও পারিবারিক অবস্থানসহ ব্যক্তিগত অবস্থান এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে আমিও একজন যোগ্য দাবিদার ছিলাম। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় সকল ধরনের যোগ্যতা ও পারিবারিক অবস্থান থাকা সত্ত্বেও এবং বয়সে ও শিক্ষায় এগিয়ে থাকার ফলেও নব-গঠিত কমিটিতে আমাকে ৫নং সহ সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করা হয়, যেখানে সভাপতি-সম্পাদক সহ আমার উপরস্থ ৪জন সহ-সভাপতি শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ব্যক্তিগত রাজনৈতিক জীবনে আমার অনেক জুনিয়র। ছাত্র রাজনীতিতে যদি শিষ্ঠাচারিতা ও সম্মানবোধ না থাকে সেখানে রাজনীতি করা যায় না, তাই আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসাবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে মুছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতির পদ হইতে সেচ্ছায় স্ব-জ্ঞানে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করিলাম। আমি নব-গঠিত কলঙ্কযুক্ত কমিটির দায়ভার হইতে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।”
ছাত্রলীগ নেতা ওহেদ কামাল ছিদ্দিক জানান, নবগঠিত কমিটির সভাপতি, সম্পাদক ও ৪জন সহ-সভাপতি আমার থেকে বয়সে ছোট এবং তাদের রাজনৈতিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতায় তারা আমার অনেক জুনিয়র। এছাড়া নবগঠিত মুছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলী আহম্মদ মিটুর পিতা জাকের হোসেন মুছাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বিএনপির নেতা। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম রাকিব এর পরিবারের সকলে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত বলেও তিনি জানান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন মুন্না জানান, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন পদত্যাগ পত্র আসেনি।