
কারসাজির মাধ্যমে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রামের পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জের ৩ আড়তদারকে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিকালে এক অভিযানে পেঁয়াজ আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের দুইজনকে আটক করেছে আদালত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় ২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিসি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর স্টেশন রোডস্থ নুপুর মার্কেটে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল আমরা খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ইনভয়েস এবং আমদানি ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছিলাম। সে মোতাবেক চট্টগ্রামের তিনটি আমদানিকারকের ঠিকানা পেয়েছিলাম। তার প্রেক্ষিতে আজকে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি।

তিনি বলেন, নপুর মার্কেটে যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে গিয়ে একটি জুতার দোকান দেখা গেছে। পরবর্তীতে ওশাল কোয়ার্টারে অবস্থিত এস কে ম্যানশনের আরও দুটি দোকানে দেখা যায় তারা বার্মিজ পণ্যের আমদানিকারক। কিন্তু দোকানে তল্লাশি করে পেলাম, আসলে তারা পেঁয়াজও আমদানি করে এবং ঠিকানার সাথে হুবহু মালিকের ছেলে স্টেটম্যান্ট দিল তারা ইতোমধ্যে বার্মিজ মালামালের সাথে পেঁয়াজও আমদানি করে।
তিনি বলেন, তবে দোকানের মালিককে না পাওয়ায় ম্যানেজার ও মালিকের ছেলেকে আটক করে ডিসি অফিস নিয়ে আসা হয়েছে। কারসাজির সাথে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তাদেরকে এমন বিষয়সহ বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানটিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, এখান থেকে এসব আমদানিকারকরা টেকনাফের চক্রের সাথে মিলে মিয়ানমারের পেঁয়াজের মূল্য আড়তদারদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ডকুমেন্ট অনুযায়ী গত ২ নভেম্বর তাদের পেঁয়াজ হয়ে গতকাল মার্কেটে ঢুকেছে। আগের মালগুলো বেশি দামে বিক্রি না করতে পারলেও, সম্প্রতি আসা মালগুলো খুব চড়া দামে বিক্রি করছে তারা।