সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের অবস্থার আগের চেয়ে ভাল। সে চোখ খুলেছে, হাত-পাও নেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. রেজাউস সাত্তার। শনিবার (৮ অক্টোবর)দুপুরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ডা. রেজাউস সাত্তার বলেন, ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশন করার পরেও আরও কিছু সময় অবজারভেশনে রাখা হয়েছিল। অবজারভেশনে রাখার উদ্দেশ্য পার্ট অফ ট্রিটমেন্ট। প্রথমত আমাদের উদ্দেশ্য ছিল তার কনসাসনেসের উন্নতি করা। আরও ৯৬ ঘণ্টার পর বলা যাবে তার কি অবস্থা। তবে সে চোখ খুলেছে এবং ডান হাত ও ডান পা নেড়েছে।
এর আগে, স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী কনসালটেন্ট ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, আপনারা জানেন গত ৪ অক্টোবর সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১৯ বছরের রোগী (খাদিজা) আমাদের এখানে আসেন। তার মাথায় কোপানোর আঘাত রয়েছে। এ কারণে তার মাথায় একটি অপারেশন করাও হয়েছে। তার চিকিৎসার ব্যাপারে আপনাদের বেশ আগ্রহ রয়েছে। ওই রোগীকে ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশন করার পরও আরও কিছু সময় অবজারভেশনে রাখা হয়েছিল। আগের চেয়ে ভাল রোগী। আরও ভালো হলে আপনারা ম্যাসেজ পেয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, গত প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। পরে জনতা তাকে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।