
গাজীপুরের দুই বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আকাশসহ ১১ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার বিকেলে গাজীপুরের পাতারটেক এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে দুপুরে রাজধানীর স্বামীবাগে শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রমে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মেজর জিয়া আমাদের নজরদারিতে আছেন। তাঁকেও আমরা যেকোনো সময় ধরে ফেলব।’ তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী জড়িত ব্যক্তিদের সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেকে ধরাও পড়েছেন। বাকিরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন।
এদিকে অপর এক তথ্যে জানাগেছে, গাজীপুরের পাতারটেকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানে শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে জেএমবির সামরিক কমান্ডার আকাশসহ ৭ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযান চলাকালে এক সোয়াট সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ না করায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা অ্যাকশনে যায়। প্রথমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে তারা পাল্টা আক্রমণ করে এবং কিছু ডকুমেন্ট আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় একজন সোয়াট সদস্য আহত হয়েছেন।
বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
গাজীপুর ও টাঙ্গাইলের অভিযান নিয়মিত অভিযানেরই অংশ বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, পুলিশ এবং র্যাবের যৌথ নেতৃত্বে গাজীপুরে অভিযান হয়েছে। টাঙ্গাইলেও একটা ঘটনা ঘটেছে এবং আরও দু-এক জায়গায় এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।