
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে ও তিনজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়নের জনগাঁ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-পীরগঞ্জ উপজেলার জনগাঁ গ্রামের খগেন্দ্রনাথ রায়, তার স্ত্রী কেয়া রানী (৩৫), তাদের ছেলে নিলয় (৮), মেয়ে নায়ের ও খগেন্দ্রনাথের শ্যালিকা সন্ধ্যা রানী (২২)।
পীরগঞ্জ থানার পুলিশের ভারপ্র্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুজ্জামান ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানান, ওই গ্রামের পুলিশ সদস্য খগেন্দ্রনাথ রায়ের বাড়ির ওপর দিয়ে যাওয়া ৪৪০ ভোল্টের বিদ্যুৎলাইনের তার ছিঁড়ে বাড়িতে আগুন লাগে। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা মোটরসাইকেলের তেলভর্তি ট্যাংকে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে।
আগুনে ৪ কক্ষের পুরো বাড়িটি মালামালসহ পুড়ে যায়। এ সময় ঘুমিয়ে থাকা পরিবারের ৫ সদস্য অগ্নিদগ্ধ হন। এদের মধ্যে খগেন্দ্রনাথের স্ত্রী কেয়া রানী (৩৮) ও তার স্ত্রীর বোন (শ্যালিকা) সন্ধ্যা রানী (২২) দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ছাড়া খগেন্দ্রনাথ এবং তার মেয়ে নায়ের (১৩) ও ছেলে নিলয় (৮) অগ্নিদগ্ধ হন। তাদের প্রথমে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নিলয়।
আমাদের রংপুর প্রতিনিধি জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ৩ জন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখার নূরে আলম রংপুর মেডিকেলে ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।