বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। আমরা অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবো। এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে সুশৃংখলভাবে পরাজিত করতে হবে। কারণ আওয়ামীলীগ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গেছে। এভার সবাইকে গৃহস্ত হয়ে ভোট চোরদের ধরতে হবে। তারা শুধু ভোট চুরি করে ক্রান্ত হয়নি। তারা দেশের সম্পদও চুরি করেছে।
তিনি আজ ২৩ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ানের ধানের শীষের সমর্থনে নগরীর বহদ্দার হাট মোড়ে গণসংযোগ শুরু কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যেখানে ভোট চোরের লক্ষণ দেখবেন সেখানে পাহারা বসাতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। বাধা দিতে হবে। জনগণ বিএনপির সাথে আছে। জনগণের অন্তরে ক্ষোভ আর জ্বালা আছে, তারা অপেক্ষা করছে সুযোগের। তাদেরকেত সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। এই নির্বাচনকে ভোটযুদ্ধ হিসেবে নিয়ে আবু সুফিয়ানকে জয়যুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশ এর সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। জনগণ ও ভোট বিএনপির। আওয়ামীলীগের ভোটও নেই, জনগণও নেই। এটা পরিষ্কার। এই নির্বাচনের প্রার্থী আবু সুফিয়ান একজন ত্যাগী নেতা। জেল খেটে আন্দোলন সংগ্রাম করে এ অবস্থানে এসেছে। বিএনপির জন্য তার অবদান আছে। তাই গৃহস্ত সেজে চোর ধরার প্রক্রিয়ায় সবাইকে অবতীর্ণ হয়ে ১৩ জানুয়ারী ধানের শীষে ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের গণজোয়ার প্রমাণ করে ধানের শীষ আগামীতে ১৩ জানুয়ারী জয়ের মালা পড়বে। এই ধানের শীষ শুধু ধানের শীষ না। ধানের শীষ গণতন্ত্রের প্রতীক। এই ধানের শীষ গণতন্ত্র রক্ষার প্রতীক। এই ধানের শীষ মানবাধিকার রক্ষার প্রতীক। আইনের শাসন ফিরিয়ে দেয়ার প্রতীক। আগামীতে এই নির্বাচন আমাদের নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের জন্য এই নির্বাচনী অফিস থেকে সারাদেশে আন্দোলনের জোয়ার ছড়িয়ে দিবে। ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এ সরকারের অধীনে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যায় না। বিএনপি জনগণকে ভোট কেন্দ্রে ফিরিয়ে এনে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছে। এই নির্বাচনকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমাদের প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে নির্বাচিত করতে হলে আমাদের সকলকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আগামী ১৩ জানুয়ারী ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণ প্রমাণ করে দিবে চট্টগ্রাম-৮ আসনের মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, স্বৈরচারের পতন চাই, ভোটাধিকার ফিরে পেতে চাই। তিনি বলেন, আমরা আশা করবো প্রশাসন অন্তত নিরপেক্ষ থাকবে। নির্বাচনে সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টিত সহায়তা করবে।
বহদ্দার হাট হক মার্কেটের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু হয়ে চান্দগাও আবাসিক বি ব্লক, শমশের পাড়া, হাদু মাঝি পাড়া, নাজির পাড়া, সুন্নিয়া মাদ্রাসা হয়ে বিবির হাট মোড়ে এসে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপুর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, বিএনপি নেতা আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, এনামুল হক এনাম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, মাহবুবুল আলম, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী,
এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, মনজুর আলম মনজু, মেয়র আবুল কালাম আবু, হামিদুল হক মন্নান চেয়ারম্যান, কামরুল ইসলাম, শিহাব উদ্দিন মুবিন, জি এম আইয়ুব খান, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌ:, কাউন্সিলর মো. আজম, শরীফ উদ্দিন খান, মোহাম্মদ বকতেয়ার, মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মো. শাহেদ, ফাতেমা বাদশা, জেলী চৌধুরী, হাসান জসিম, মুরাদ চৌধুরী, মো. শাহজাহান, মো. আসগর, মো. ইসাহাক চৌধুরী, মো. ইদ্রিস আলী, আবদুল আজিজ, হাসান লিটন, আবু মুসা, আবদুল হাই, আবদুল কাদের জসিম, মোঃ শহীদুল আলম শহীদ প্রমুখ।
