ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা প্রকল্প ত্বরান্বিত করছে চীন!

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং-এর কাছে নতুন নতুন চীনা কোম্পানিকে ঢাকায় নিয়ে আসাই একমাত্র অগ্রাধিকার নয়। দৃশ্যত, তার লক্ষ্য হচ্ছে কক্সবাজারের পেকুয়ায় অত্যাধুনিক সাবমেরিন ঘাঁটি, বিএনএস শেখ হাসিনা’র মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নির্মানকাজ ত্বরান্বিত করা।

ভারতীয় উপমহাদেশে নিজের উপস্থিতি বাড়াতে মরিয়া চীন। আর সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে ইতিমধ্যে দু’টি সাবমেরিন হস্তান্তর করেছে দেশটি। আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর আরও কাছে নিয়ে যেতে পেশাদার কূটনীতিক লি জিমিং (৫৮) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। লন্ডন থেকে প্রকাশিত এশিয়ান লাইট পত্রিকা এই খবর দিয়েছে।

খবরে বলা হয়, গত বছর চীন ও বাংলাদেশের দেয়া যৌথ বিবৃতিতে শেখ হাসিনা চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর প্রতি শুধু সমর্থনই জানাননি, তিনি প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করার চীনা পরিকল্পনার প্রতিও একমত পোষণ করেন। প্রতিরক্ষা শিল্প শক্তিশালী করার মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বঙ্গোপসাগরে নৌ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

যদিও শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক বেশ আন্তরিক, তবুও বেইজিং চায় উপমহাদেশে নিজের উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে। এই লক্ষে বন্দর, বিমানবন্দর বা কক্সবাজারে নির্মিতব্য সাবমেরিন ঘাঁটির মতো বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থছাড় করছে চীন। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ সূত্রগুলো বার্তাসংস্থা আইএএনএস’কে বলেছে যে, ওই সাবমেরিন ঘাঁটি প্রকল্পে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পলি টেকনোলজিস ইনকর্পোরেশন (পিটিআই)-কে কাজ দেয়া হয়েছে। সামগ্রিক নির্মাণ কাজে ব্যয় হবে আনুমানিক ১০৩০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই নির্ধারিত স্থাপনায় পুরোদমে কাজ আরম্ভ হয়েছে। ওই ঘাঁটিতে ব্যারাক, গোলাবারুদের ডেপো, মেরামত ডক ও সাধারণ ঘাটসহ বিভিন্ন সুবিধা থাকবে।

ভারতীয় এজেন্সির সূত্রগুলো বলছে যে, বেইজিং-এর আদেশে রাষ্ট্রদূত লি জিমিং কক্সবাজারের ওই প্রকল্পসহ বাংলাদেশে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। এর আগে চীনের ইউনান প্রদেশে সরকারের হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে লি জিমিং-এর। তার সাথে চীনের নৌ বাহিনী অর্থাৎ পিপল’স লিবারেশন আর্মি নেভি (পিএলএএন)-এর শীর্ষ কমান্ডারদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি বর্তমানে সাবমেরিন প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে আছেন। এর আগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে চীন-নির্মিত দু’টি ছোট যুদ্ধজাহাজের দ্রুত হস্তান্তরেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। এর আগে ২০১৬-১৭ সালে চীনের কাছ থেকে দু’টি সাবমেরিন গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশ।

এই দু’টি সাবমেরিন কক্সবাজারের একটি অস্থায়ী ঘাঁটি থেকে এখন পরিচালিত হচ্ছে। এই সাবমেরিন দু’টি কেনার পর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য একটি আধুনিক সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণে সহায়তার জন্য চীনের দ্বারস্থ হয় ঢাকা। এছাড়া পটুয়াখালীতে একটি নতুন নৌ ঘাঁটি স্থাপন করছে ঢাকা। সেখানেও সাবমেরিন ভিড়ানোর ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় বাংলাদেশে নির্মিতব্য পায়রা সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ওই ঘাঁটিতে আরও নানাবিধ সুবিধা থাকছে। নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মাসে বিএনএস সংগ্রাম নামে চীন নির্মিত একটি যুদ্ধজাহাজ নৌবাহিনীতে প্রবেশের উদ্বোধন করেন। তবে প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কে ভারসাম্য বজায় রাখতে হাসিনা বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান খুবই সীমিত সামর্থ্য নিয়ে নয়া-স্বাধীন দেশটির যাত্রা শুরু করেছিলেন। – সুত্র: মানবজমিন।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print