
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাকশাল কায়েম করে আওয়ামীলীগকে বিলুপ্ত করে দিয়েছিল। শহীদ জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করে আওয়ামীলীগকে পুনরায় রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। জিয়াউর রহমানের করুণায় শেখ হাসিনা রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে।
তিনি আজ মঙ্গলবার ১ সেপ্টম্বর বিকালে বিএনপির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশ ও জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনে রাজনৈতিক দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেনন। জিয়াউর রহমানের বিএনপি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে শুরু হয় উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পর দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটে। তখন দেশ ও জাতি এক চরম হতাশায় নিমজ্জিত ও দিশেহারা। ঠিক সেই মুহূর্তে এ দেশের সিপাহী জনতা জিয়াউর রহমানকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসায়। বিএনপি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জিয়াউর রহমান দেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের পাশাপাশি এনে দেন জাতিসত্তার পরিচয় ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের।

সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাটিহাটি পা পা করে আজকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি। স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারের প্রতি অতিষ্ঠ জনগণের মাঝে স্বস্তি ও আশার সঞ্চার করে পথচলা শুরু হয় বিএনপির। দীর্ঘ এই পথ পরিক্রমায় সীমাহীন প্রতিকূল পরিস্থিতিও মোকাবেলা করতে হয়েছে। জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি মুক্তির সনদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপিকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ষড়যন্ত্র হয়েছিল গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। সেই সময়কার সেনা সমর্থিত সরকারের উদ্দেশ্য ছিল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। এজন্য তারা বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ এক বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে আবারও দলকে সুসংগঠিত করে তোলেন বেগম খালেদা জিয়া। দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর প্রত্যয়দীপ্ত বলিষ্ঠ প্রতিরোধের মুখে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি: সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে বিএনপির যে প্রচেষ্টা দীর্ঘ ৪২ বছর পরও সে লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ সব সাফল্য বিএনপি সরকারের আমলেই হয়েছে। জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল¬াহ সংযোজনসহ ইসলামী মূল্যবোধকে জাগ্রত করেছেন।
সভায় মহামারী করোনায় মৃত্যুবরণকারী বিএনপি নেতৃবৃন্দের জন্য শোক প্রকাশ করা হয়। করোনায় মৃত্যুবরণকারী নেতৃবৃন্দ ও শহীদ জিয়া এবং আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনা করে মুনাজাত করেন মাওলানা এহসানুল হক।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কামরুল ইসলাম’র যৌথ পরিচালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরী আরা ছাফা, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, হারুন জামান, নিয়াজ মো. খান. অধ্যাপক নুরুল আরম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, জাহিদুল করিম কচি, সি: যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আহমেদুল আলম রাসেল, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, মনজুর আলম মনজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, সহসাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম (ডক), মো. সালাউদ্দিন, জি.এম আইয়ুব খান, ইসহাক চৌধুরী আলিম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ মোহাম্মদ আলী মিঠু, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মনোয়ারা বেগম মনি, মাঈন উদ্দিন মোহাম্মদ শহীদ, এইচ এম রাশেদ খান, হামিদ হোসেন, আমিন মাহমুদ, নুরুল আকবর কাজল, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, নুরুজ্জামান, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, আবদুল বাতেন, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন ডেপটী, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. আজম, ডা. নুরুল আবছার, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ এ কে খান, একেএম পেয়ারু, সালাহ উদ্দিন কায়ছার লাবু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. সেলিম, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, এড. সেলিম উদ্দিন শাহীন, জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আজাদ বাঙালী, আরিফ মেহেদী, আবু মুসা, শহীদ আহমেদ, আলমগীর নূর, আবদুল মতিন, আবুল খায়ের মেম্বার, আবদুল হাই, আলী আজম, সালাহ উদ্দিন লাতু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ জাকির হোসেন, মো. শাহাব উদ্দিন, জাহিদ হাসান, রেকান উদ্দিন মাহমুদ, নূর হোসেন, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, নগর বিএনপির সদস্য মো. ইলিয়াছ, ইউসুফ সিকদার, জেসমিনা খানম, আলী ইউসুফ, আঁখি সোলতানা, রেজিয়া বেগম, আলমগীর আলী মো. জসিম, এড. এরফানসহ ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।