
পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আনন্দ-উল্লাস, নাচ-গান, র্যাফেল ড্র’র পুরস্কার অার গরুর মাংস দিয়ে সাদা ভাত (ঐতিহ্যবাহি চট্টগ্রামের মেজবান) ভোজনের মধ্যদিয়ে দারুণ এক সন্ধ্যা উপভোগ করেছেন চট্টগ্রাম শহরে বসবাসকারী শিল্প নগরীখ্যাত সীতাকুণ্ডের বাসিন্দারা।

নগরীর লাভলেইনস্থ স্বরণিকা কমিনিউটি সেন্টারে সীতাকুণ্ডবাসীর প্রাণের সংগঠন সীতাকুণ্ড সমিতির অায়োজনে বর্ণঢ্য এ মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার রাতে।
সীতাকুণ্ড সমিতির ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষির্কী এবং ১০ বছরে পর্দাপণ উপলক্ষে এ মিলন মেলার আয়োজন করা হয়।

বিকালের সূর্য্য ডুবার সাথে সাথে স্বরণিকায় একে একে ভীড় করতে থাকেন শহরের বিভিন্ন পেশায় এবং ব্যবসায় জড়িত সীতাকুণ্ডের বাসিন্দারা।
ঠিক সন্ধ্যা ৭টায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান পর্ব। এরিমধ্যে সমিতির সদস্য-সদস্যরা তাদের পরিবার পরিজন উপদেষ্টা, পৃষ্টপোষকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে স্বরণিকা প্রাঙ্গন। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় বিশাল হল রুম।

মঞ্চ উঠেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এর আগে অবশ্য অনুষ্ঠানে যোগদেন সীতাকুণ্ডর সদস্য সদস্য সমিতির উপদেষ্টা দিদারুল আলম দিদার, চট্টগ্রাম বন্দর পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফ।
সমিতির নব নির্বাচিত কর্মকর্তাদের পরিচয় পর্ব শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন অতিথিগণ। এর পরপরই শুরু হয় অনুষ্ঠানের আর্কষণ জি-বাংলার মীরাক্কেল তারকা আরমানের কৌতুক।

একের পর এক রোমান্টিক এবং হাস্যকর কৌতুক পরিবেশন করে হলভর্তি দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন জনপ্রিয় এ কৌতুক অভিনেতা। কয়েকটি গান গেয়েও দর্শকেদের আনন্দ বাড়িয়ে দেন আরমান।

এর পর গানের ঝুলি নিয়ে মঞ্চ এ আসেন বেতার ও টেলিভিশনের জনপ্রিয় শিল্পী এবং সীতাকুণ্ড সমিতির সাংস্কৃতি সম্পাদক আকলিমা আকতার। দেশাত্মকবোধক গানদিয়ে শুরু করে একের পর এক আধুনিক বাংলা হিন্দি গান এবং গজল গেছে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন আকলিমা।

র্যাফেল-ড্র কমিটির কর্মকর্তাদের তোড়জোরে এক পর্যায়ে গানের পর্বশেষ করতে হয় শিল্পী আকলিমাকে। কারণ তখনো দর্শকদের জন্য মূল আর্কষণ র্যাফেল ড্র ‘র-পুরস্কার জন্য ঘোষণা বাকি। একে একে লোভনীয় পুরস্কারের ড্র হতে থাকে। ভাগ্যবান সদস্য সদস্যরা জিতে যান ৩০টি মূল্যবান পুরস্কার। বিজয়ী সদস্য ও তাদের পরিারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এডিশনার ডিআইজি (টুরিস্ট পুলিশ) ও সমিতির পৃষ্টপোষক মোহাম্মদ মুসলিম, মিসেস মুসলিম এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন।

এর পরই মেজবান ভোজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় কয়েক ঘন্টার আনন্দ উৎসব। তবে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই বিশাল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে সেই কয়েকজন কর্মকর্তার মধ্যে কয়েকজনে হলেন, সভাপতি গিয়াস উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এ.কে.তফজল হক, কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মানিক, হাজী ইউসূফ শাহ, মো. মহিউদ্দিন, কাজী আলী আকবর, আবুল হাসনাত, জিয়াউল ইসলাম শিবলু, আকলিমা আক্তার, হাসান আকবর, আজিজ উদ্দিন লিটন, নূরুল ইসলাম শাহাব উদ্দিন, কাজী মাসুদা খানম প্রমুখ।