
আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, সড়ক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপি সব হারিয়ে এখন উম্মাদ হয়ে গেছে। জনগনের উপর আস্থা হারিয়ে বিএনপি ক্ষমতার জন্য বিদেশী প্রভুদের কাছে ধর্না দেয়। শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে চট্টগ্রাম থেকে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের সংবর্ধনা অুনষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্য বলেন, আমাদের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। আপনাদেরকে তো খালেদা জিয়া নির্বাচিত করেছেন এক কলমের খোছায়।

বিএনপি’র ভারত মিশন শেষ হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকা মিশন নিয়ে অপেক্ষা করেছিলেন এতদিন সেটাও শেষ হয়েছে। আওয়ামীলীগের ক্ষমতার উৎস হলো জনগন উল্লেখ করে সেতু মন্ত্রী বলেন আওয়ামীলীগ নয় দেউলিয়া হয়েছে বিএনপিই। আন্দোলন নিয়ে টালবাহানা করছেন এবছর নয় তো ওবছর আসলে আন্দোলন হবে কোন বছর? তিনি বলেন, কেমনে আন্দোলন হবে মরাগাঙ্গে তো জোয়ার আসেনা। বিএনপি বিএনপি’র রাজনীতি এখন প্রেসরিলিজ নির্ভর হয়ে গেছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন যারা দলের নিয়ম মানবেনা তাদের দলে থাকার কোন অধিকার নেই। গুটি কয়েকজন যারা পরিবেশ নষ্ট করতে চান তাদের জন্য পুরা দল নষ্ট হতে পারেনা তাদেরকে বের করে দেয়া হবে। দলে যারা অনুপ্রবেশ করেছেন তাদেরকে ধরা হবে। বসন্তের কোকিদের শেখ হাসিনার কাছে স্থান নেই। হাছা কইলাম না মিছা কইলাম, হাছা কইছি? চট্টগ্রামের সবাই আজ এক মঞ্চে। আমরা অভিন্ন এবং এক।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বীর চট্টলার বীর জনগণ, আমি আপনাদের ফুল নিতে আসি নি, আমি ব্যানার ,পোষ্টার ও বিলবোর্ডে আমার ছবি দেখতে আসেনি । তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, কর্ণফুলী টানেলের কাজ শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে শীঘ্রই চীনের সাংহাই সিটিতে রুপান্তরিত হবে সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম। তিনি আরো জানান, ২০১৮ সালের মধ্যেই চট্টগ্রাম হবে ৯০ ভাগ বিদ্যুৎতে সয়ংসম্পন্ন।
এসময় তিনি বর্তমান নেতা কর্মীদের হুশিয়ার করে জানান, বসন্তের কোকিল ও মৌসুমি পাখির মত দলে যে সকল সুবিধা ভোগী রয়েছেন তারা অতি শীঘ্রই দল ত্যাগ করুন।না হলে শৃংখলাবোধ নষ্ঠ করার দায়ে অসম্মান জানিয়ে দলের পদ থেকে বহিস্কার করা হবে।কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে ও কড়া হুশিয়ারী দেন।
তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন,কখন আন্দোলনে নামবেন,এই বছর-ঐবছর করে করে তো গতি হারিয়ে এখন কোন ঈদের খোঁেজ আছেন সেটি জনগণ দেখতে চাই।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, গৃহায়ন ও গনপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী দিপু মণি, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ,কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ,চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন,সাবেক এমপি ইছহাক মিঞা,দক্ষিন জেলা সভাপতি মোসলেম উদ্দিন,উত্তর জেলা সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী,দক্ষিন জেলা সেক্রেটারী মফিজুর রহমান,উত্তর জেলা সেক্রেটারী এম এ ছালাম প্রমুখ।