
বাংলার আবহমান কৃষিজ সংস্কৃতিকে নগরীতে উদযাপনের লক্ষ্যে চট্টগ্রামে প্রথমবারের আয়োজন করা হয়েছে নবান্ন উৎসবের। শিশুদের সাংস্কৃতিক জগত ‘শিশুমেলা’র উদ্যোগে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ‘আজি নবান্ন উৎসবে নবীন গানে/ আয়রে সবে আয়রে ছুটে প্রাণের টানে’ শ্লোগান নিয়ে এবারের উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আজ ১৪ নভেম্বর সোমবার বিকাল চারটায় নগরীর ডি সি হিলে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করবেন তিন জন কৃষক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফী, বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ড. শিরীণ আখতার, বিশিষ্ট সুরকার ও সংগীত পরিচালক বাসুদেব ঘোষ।
সভাপতিত্ব করবেন উৎসব উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখবেন, পরিষদের আহ্বায়ক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন পরিষদের সদস্য সচিব রুবেল দাশ প্রিন্স।
বিকাল তিনটায় ভায়োলেনিষ্ট চিটাগাং এর পরিবেশনায় বেহালার সুরের মূর্চ্ছনার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে উৎসব। এরপর দলীয় নৃত্য পরিবেশন করবে নিষ্পাপ অটিজম স্কুল। এছাড়া স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স ও নৃত্য নিকেতন। লোকনৃত্য পরিবেশন রাফাহ্ নানজেবা তোরসা, দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী, দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করবে বোধন আবৃত্তি পরিষদ। কংকন দাশ ও আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় উৎসবে একক সঙ্গীত পরিবেশন করবেন লাকী দাশ, গীতা আচার্য্য, বনানী দত্ত, সীমা দাশ, গৌরী নন্দী, কান্তা দে, সুপর্ণা রায় চৌধুরী, মো. শফিউদ্দিন, মন্দিরা চৌধুরী, দেবাশীষ, জনি বড়–য়া, সঞ্জয় বনিক, বৈশাখী নাথ ও চ্যানেল আই স্বর্ণালী কণ্ঠ ইলমা বিনতে বখতিয়ার ও ক্লোজআপ তারকা পূর্ণ চন্দ্র রায় ।
পরিষদের সদস্য সচিব রুবেল দাশ প্রিন্স বলেন, নাগরিক জীবনের কোলাহলে গ্রামীণ সমাজের অনেক অনুষঙ্গের সাথেই পরিচিত হওয়ার সুযোগ পায় না শহরের শিশু-কিশোররা। তাই চট্টগ্রামে দ্বিতীয়বারের মত নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছি। আমরা চাই এ উৎসব মেলবন্ধনের সূত্র হয়ে উঠুক হোক গ্রামের সঙ্গে শহরের। চিরায়ত উৎসবের আনন্দে মেতে উঠুক সব বয়স আর শ্রেণি- পেশার মানুষ।
উৎসবে থাকবে পিঠাপুলি, মুড়িমুড়কিসহ কৃষিজ পণ্যের স্টল। সুত্র: প্রেসবিজ্ঞপ্তি