
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে প্রবাসী ভাই আব্দুস সালামকে গলাকেটে হত্যার দায়ে তার আপন ভাই মো. আজমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। একই রায়ে আদালত ওই প্রবাসীর মা ও বোনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন, সম্পত্তি ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আব্দুস সালামকে গলাকেটে হত্যা্ করা হয়। এ ঘটনায় আব্দুস সালামের স্ত্রী পারভিন আক্তার বাদি হয়ে আব্দুস সালামের বাবা, মা, ভাই ও বোনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত করে ২০১০ সালের ৯ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করে। মামলার ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘আসামিদের মধ্যে আজম শুরু থেকেই পলাতক আছেন। ফরিদা ও কামরুন নাহার যুক্তিতর্ক শুনানি পর্যন্ত আদালতে নিয়মিত হাজির ছিলেন। অপর আসামি সালামের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বিচার চলাকালীন মৃত্যুবরণ করায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৯ অক্টোবর বিদেশ ফেরত আব্দুস সালামকে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে নিজ বাড়িতে তার বাবা-মা, ভাই-বোন মিলে গলাকেটে হত্যা করে। ঘটনার দিন সকালে আব্দুস সালাম তার বাড়ির সামনে ভেঙে যাওয়া গোয়াল ঘর ঠিক করছিলেন। এ সময় আজম, তার বাবা ও মা, বোন বাধা দেয়। দুপুরে সালাম তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ভাত খাওয়ার সময় আসামিরা তার ঘরে ঢোকে। সালামকে মাটিতে ফেলে রাজ্জাক মাথা চেপে ধরে। ফরিদা ও কামরুন নাহার হাত-পা চেপে ধরে। আর আজম ছুরি দিয়ে কণ্ঠনালীতে আঘাত করে। হত্যাকাণ্ডের পরপর আজম ও তার বাবা রাজ্জাক পালিয়ে গেলেও স্থানীয় লোকজন ফরিদা ও কামরুন নাহারকে আটক করে পুলিশে দেন। পলাতক থাকাবস্থায় রাজ্জাক মারা যান।
২০১০ সালের ৯ জানুয়ারি ওই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করে। মামলার ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এই রায় দেন।