ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

“সকালে তিনি কলেজ অধ্যাপক বিকালে ইউপি সচিব!”

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

জিয়া চৌধুরী, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
একদিকে তিনি কলেজের এমপিওভুক্ত লেকচারার, অন্যদিকে একটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব। একই সাথে দুইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই সরকারি বেতন তুলছেন। অত্যন্ত সুকৌশলে তিনি প্রায় দুই যুগ ধরে দুইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে এলেও তার দুই প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীরা টের পাননি বিষয়টি। যেন এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করছেন কানু কুমার নাথ!

সম্প্রতি হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে একটি জন্ম নিবন্ধন সনদের জালিয়াতির বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে হাটহাজারীর ইউএনও রুহুল আমিন আবিস্কার করেন সেখানকার ইউপি সচিব কানু কুমার নাথের একই সাথে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির বিষয়টি।

হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কানু কুমার নাথ। গত প্রায় দুই যুগ ধরে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। সচিবের চাকরীর পাশাপাশি ২৬ বছর ধরে ফটিকছড়ি উপজেলার রামগড় এলাকার এমপিওভুক্ত হেঁয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৯৪ সালে লেকচারার হিসেবে নিয়োগ পেলেও বর্তমানে বাংলা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে আছেন। সকালে কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি বিকেলে করেন ইউপি সচিবের কাজ। পরিষদের জরুরী কাজগুলো সারতেন ক্যাজুয়াল স্টাফ বেলাল উদ্দীন কে দিয়ে। তাই তেমন মাথা ব্যাথা ছিলনা সচিবের প্রাত্যহিক দায়িত্ব নিয়ে।

মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বা সাবেক চেয়ারম্যানরা কেউই বুঝতে পারেননি তার এই কৌশল। সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে শঠতার আশ্রয় নিয়ে করেছেন দুই দিকে দুই সরকারি চাকরী। পরিষদ কর্তৃপক্ষ অবগত ছিলেন না কলেজের বিষয়টি আর কলেজ কর্তৃপক্ষ অবগত ছিলেন না ইউপি সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের ব্যাপারটি।

কানু কুমার নাথ সরকারি নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে নিয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার টাকা সরকারি বেতন। আর এ তথ্য গোপন রাখতেই দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের কোন জন্ম নিবন্ধন বা অন্যান্য সনদে স্বাক্ষর করতেন না তিনি। তার নিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের ক্যাজুয়াল স্টাফ বেলাল স্বাক্ষর করতেন সব রকমের সনদে।

হেয়াকো বনানী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ফারুকুর রহমান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘ ২৬ বছর যাবৎ কলেজে শিক্ষকতা করছেন কানু কুমার নাথ। অথচ উনি একটি পরিষদের সচিবের দায়িত্বেও আছেন যা আমরা কখনো টের পাইনি। বুধবার হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জানতে পারলাম বিষয়টি। উনি তথ্য গোপন করে কলেজে শিক্ষকতা করছেন। আমরা সত্যিই হতবাক তার এমন অনৈতিক কাজে। আমরা গতকালই তিন (৩) কার্য দিবসে জবাব চেয়ে শোকজ করেছি। তাকে না পেয়ে মিরসরাই উপজেলা তার নিজ বাড়ির ঠিকানায় রেজিঃ ডাকের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি। দ্রুত ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান অধ্যক্ষ ফারুকুর রহমান।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন বলেন, কানু কুমার নাথ তথ্য গোপন রেখে একসাথে দুটি সরকারি চাকরি করছেন। পরিষদের বিষয়ে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের বরাবরে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়া হয়েছে। সচিবের পাশাপাশি এমপিওভুক্ত কলেজে শিক্ষকতার ব্যাপারে স্থানীয় সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print