
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা কাদের প্রশাসনের প্রতি হুসিয়ারী করে বলেছেন “শোকসভা বন্ধের পরিনিতি ভালো হবেনা” তিনি বলেন-এটা কেন করা হয়েছে আমি বুঝি। যারা আজকে আমাকে হত্যা করার জন্য ঢাকা থেকে আরম্ভ করে। নোয়াখালী-ফেনী অপরাজনীতির হোতা একরাম-নিজাম এবং কোম্পানীগঞ্জের জাসদের সভাপতি-সম্পাদক খিজির হায়াত-নুরনবীসহ অস্ত্রধারীদের আজকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আজকে সেটাই প্রমাণ করতে চেয়েছে প্রশাসন। আমরা আবদুল কাদের মির্জার কথা শুনি না। আমরা অস্ত্রধারীদের কথা শুনি, আমরা অপরাজনীতি যারা করে তাদের কথা শুনি।
আজ রবিবার (২১ মার্চ) দুপুর ২টায় সাবেক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সদ্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্মরণে পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ডাকা শোকসভা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন স্থগিত করলে নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
এ সময় কাদের মির্জা বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে বলেনে, আমাদের এক নেতা বলেছেন, কেউ যদি অধম হয়, আমরা কেন উত্তম হব না। নেতাজি এ বক্তব্য মানুষের জন্য, নিজের ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য নয়।
তিনি বলেন, আজকে এভাবে আমাকে খাটো করার জন্য দলের উচ্চ পর্যায় থেকে নিন্ম পর্যন্ত, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় থেকে নানা ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে। বাংলাদেশে যখন যারা ক্ষমতায় আসে। কিছু কিছু লোক মনে করে এটা তার পারিবারিক সম্পত্তি। যা ইচ্ছা তা করবে, যা ইচ্ছা তা বলবে এর বাহিরে আমি কিছু বলতে চাইনা। আজকে আমাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য,আমার মুখ বন্ধ করার জন্য,আমাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য, আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য। আজকের এ পোগ্রাম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটার পরিনিতি কিন্তু ভালো হবে না,আমি জানি। যারা এ নির্দেশ দিয়েছেন আপনিও একদিন এধরনের নির্দেশে লাঞ্ছিত হবেন, অপমানিত হবেন, অপেক্ষা করেন।
কাদের মির্জা বলেন, আমার ছেলেদের জামিন হয়না প্রতিপক্ষের ছেলেদের জামিন হয়। কার নির্দেশে, তিনি কে, এই নাম একদিন বেরিয়ে আসবে কোম্পানীগঞ্জের জনগণের কাছে এবং তাকে জবাব দিতে, তাকে জবাব দিতে হবে। প্রশাসন একতরফাভাবে আজকে আমার লোকজনকে হয়রানি করছে। আমার পাশে কাউকে দেখলে তার বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে তাকে গ্রেফতার করছে। আজকে এখানে প্রবাকান্ড ছড়াচ্ছে তাদেরকে নাকি উচ্চপর্যায় থেকে বলেছে, আব্দুল কাদের মির্জা মুখ বন্ধ করতে হলে, তার আশপাশে যারা আছে, তাদেরকে যেকোনো ভাবে হোক সরাতে হবে। আমার চতুরপাশ থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এটাকে করছে। একদিন প্রমাণ হবে। একদিন বেরিয়ে আসবে কে করছে। আজকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, প্রশাসনে যারা আছেন। আজকে প্রশাসনের কয়েকজন ব্যক্তি মাসোহারা পায়। এখানে নানা অনিয়ম করে তারা টাকা উপার্জন করে, আজকে তারা এজন্য মাতাল হয়ে গেছে। আব্দুল কাদের মির্জা কে সরাতে হবে কারণ আমি, অপরাজনীতি, চাকরি বাণিজ্যসহ প্রশাসনকে ব্যবহার করে যে অনিয়ম নোয়াখালী এবং ফেনীতে চলছে এর বিরুদ্ধে আমি কথা বলছি। এখানকার সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি কথা বলছি। সেজন্য আজকে আমাকে সরিয়ে দিতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলবো যত ষড়যন্ত্র করুন। যত অস্ত্রবাজি করেন,যত চক্রান্ত করেন, আমাকে কোন অবস্থায় সত্যবচন থেকে দূরে সরানো যাবে না। আমি সাহস করে সত্য কথা বলব। এটা কার পক্ষে যাচ্ছে, কার বিরুদ্ধে যাচ্ছে,আমি বলতে পারবো না। আর কোম্পানীগঞ্জে নেতারা আছে, কি করছে জানিনা। অভিভাবক যারা নিজেদেরকে দাবি করে। অভিভাবকের কাজ কি এগুলো। শোকসভা বন্ধ করা কি অভিাভকের কাজ। আমি শুধু বলব গোলাপ ভরা ফুলদানি ভেঙে ফেলতে পার, কিন্তু বাতাস থেকে কখনো গোলাপের গন্ধ মুছে ফেলতে পারবেনা।।