চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
দেশের বিদ্যমান ১১শ আইনের মধ্যে শুধু তথ্য অধিকার আইন জনগণ প্রশাসনের উপর প্রয়োগ করে থাকে বাকী আইনগুলো জনগণের উপর প্রয়োগ করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম রহমান।
তিনি আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসনের মিলনায়তনে তথ্য কমিশন আয়োজিত দু’দিন ব্যাপি তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অবহিতকরণ সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ কথা বলেন।
এ আইনের উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারী ও বেসরকারী দপ্তরের কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সৃষ্টি। প্রশাসনের কাজ গুলো জনগণের জন্য হয়। জনগণ যেকোন সময় তাদের প্রয়োজনে তথ্য গুলো জানতে চায়। তাদের জানার ফলে একটা স্বচ্ছতা তৈরি হয়। দেশের নাগরিকদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পায় এবং সুশাসন নিশ্চিত হবার মাধ্যমে দুর্নীতি হ্রাস পায়।
তথ্য ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান তথ্য কমিশনার আরো বলেন, সমাজে এখনো তথ্য লুকিয়ে রাখার প্রবণতা বিদ্যামান। তথ্য যতো ব্যবহার হবে ততোই এটি সমৃদ্ধ হবে। মানুষকে সমৃদ্ধি ও ক্ষমতায়নের পথে নিয়ে যাওয়া তথ্যের কাজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যপক ড. ইফতেখার চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার, তথ্য কমিশনের পরিচালক(প্রশাসন) মুহিবুল হোসাইন, তথ্য সচিব রফিকুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, উপ-উপাচার্য ড. শিরীণ আক্তার, প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) ফরহাদ হোসেনের সঞ্চালনায় এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক -শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিক সহ প্রায় দেড় শতাধিক প্রশিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রথমদিনের কর্মশালা শিক্ষকদের জন্য এবং আগামীকাল শেষ দিন সাংবাদিকদের জন্য দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।
