ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

রাজস্থানের কুলধারায় গেলে কেউ জীবন নিয়ে ফেরে না!

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

রাজস্থানের এই গ্রামে গেলে কেউ বেঁচে ফেরে না!

কালের প্রকোপে কিছু বাড়ি তো ভেঙে চুরে যাবেই! কিন্তু, বেশ কিছু বাড়ি এখনও অটুট আছে। অটুট আছে মন্দিরও। কালের এতটুকুও আঁচড় পড়েনি গ্রামের মাঝখানের ছত্রীতে। তার পরেও, জয়সলমীরের কুলধারায় কেউ পা রাখতে সাহস করেন না। অন্তত, রাতের বেলায় তো নয়ই! যাঁরা কুলধারায় রাত কাটিয়েছেন, কোনও না কোনও বিপদের মুখে পড়েছেন। কুলধারায় রাত কাটিয়ে পাড়ি দিতে হয়েছে মৃত্যুর দিকে, এমন উদাহরণও কম নেই!

প্রায় ৩০০ বছরেরও বেশি সময় কেটে গেল। তাও কেন নতুন করে জনবসতি গড়ে উঠল না কুলধারায়?

প্রশ্নটা কিন্তু ভাবার! রাজস্থানের মতো রুক্ষ জায়গায় বসবাসের উপযোগী জায়গা খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন ব্যাপার। মূলত পানির জন্যই।

কুলধারায় কিন্তু সেই সমস্যা ছিল না। সোনালি বালির মাঝে মরুদ্যানের মতোই মাথা তুলে একটা সময়ে সগৌরবে দাঁড়িয়ে ছিল কুলধারা। পালিওয়াল ব্রাহ্মণদের এই গ্রাম ছিল চাষ-আবাদের জন্যও বিখ্যাত।

তাহলে আচমকাই কেন জনহীন হয়ে গেল কুলধারা? শোনা যায়, প্রায় ৩০০ বছর আগে জয়সলমীরে এক অত্যাচারী দেওয়ান ছিলেন। তাঁর নাম সেলিম সিং। কর আদায়ের জন্য হেন দুর্নীতি ছিল না, যার আশ্রয় তিনি নেননি।

এই সেলিম সিংয়ের একদিন নজর পড়ল কুলধারার গ্রামপ্রধানের সুন্দরী কন্যার দিকে। নিজে গ্রামে এসে বলে গেলেন সেলিম সিং, ওই মেয়েটিকে তাঁর চাই-ই চাই! নইলে, অস্বাভাবিক করের বোঝা মাথায় নিয়ে বাঁচতে হবে কুলধারা এবং পাশের ৮৪টি গ্রামকে।

সেই রাতেই ঘটে যায় এক আশ্চর্য ব্যাপার। রাতারাতি ৮৪টি গ্রামের লোক যেন মিলিয়ে যায় বাতাসে! কেউ বলেন, গ্রামবাসীরা দেওয়ানের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এক বস্ত্রে। কিন্তু, এই বক্তব্যের মধ্যে তেমন জোর নেই। ৮৪টি গ্রামের লোক না হয় রাতের আঁধারে গ্রাম ছাড়তেই পারে! কিন্তু, এত বড় দল যদি পালিয়ে যায়, তবে কোথাও না কোথাও তো পথের মধ্যে তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে।

সে রকম কিছু কিন্তু কোনও দিন শোনা যায়নি। তাহলে কি অলৌকিক কোনও বিদ্যার আশ্রয় নিয়ে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা? আত্মহত্যা করলেও তো দেহ পড়ে থাকত!

কিন্তু, কিছুই পাওয়া যায়নি। দেওয়ান এসে দেখেছিলেন, গ্রামের পর গ্রাম ফাঁকা পড়ে আছে। সব কিছুই রয়েছে যথাস্থানে। শুধু মানুষ নেই!

সেলিম সিং এর পর নতুন করে গ্রাম বসানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, কেউ সেই গ্রামে রাত কাটাতে পারত না। তাদের মৃত্যু হত। মৃত্যুর কারণও জানা যেত না।

কাহিনি বলে, এর মূলে রয়েছে গ্রামবাসীদের অভিশাপ। মিলিয়ে যাওয়ার আগে তারা অভিশাপ ছড়িয়ে দিয়েছিল গ্রামের বাতাসে-‘কেউ এখানে বাস করতে পারবে না।’ যেমনটা তারাও পারেনি!

ঘুরে আপনি আসতেই পারেন কুলধারা থেকে। দেখবেন, অনেকগুলো ভাঙাচোরা বাড়ির মধ্যে একটা বাড়ি, মন্দির আর ছত্রী একেবারে ঠিকঠাক রয়েছে।

আবার একটু ভাবুন তো! কালের প্রকোপ যেখানে সব বাড়িকে পরিণত করেছে ধ্বংসস্তুপে, সেখানে এই তিনটি রক্ষা পায় কী ভাবে? কী ভাবেই বা রোদ-বৃষ্টির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে অক্ষুণ্ণ থাকে বাড়ির দেওয়ালের অলঙ্করণ?

২০১৩ সালে দিল্লির প্যারানর্ম্যাল সোসাইটি বেশ কিছু সদস্যের সঙ্গে রাত কাটাতে গিয়েছিল কুলধারায়। অভিজ্ঞতা সুখের হয়নি। প্রতি সেকেন্ডে বদলে যাচ্ছিল তাদের চারপাশের আবহাওয়া। এই কনকনে ঠাণ্ডা, তো এই অসহ্য গরম! কয়েকজন সদস্যকে ধাক্কা দেয় কেউ! পিছনে ফিরে দেখা যায়- ধারে কাছে কেউ নেই! রাত বাড়লে শোনা গিয়েছিল কান্নার আওয়াজ।

আর সকালবেলায়? দেখা গিয়েছিল, গাড়ির কাচে কোলের শিশুর হাতের ছাপ!

তাহলে কি এখনও ৩০০ বছর আগের ওই গ্রামবাসীরা অদৃশ্য হয়ে, অশরীরী রূপে থেকে গিয়েছেন গ্রামেই?


সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print