
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন কন্ট্রাকটার শুধু বিএনপি’র জন্য একজন নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন না। তিনি সমাজসেবক, দানবীর, বিনয়ী,সজ্জন ও আদর্শবান মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি এছাড়াও দীর্ঘদিন ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি থাকাকালীন সময়ে নিষ্টার সাথে দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে দলকে সুসংগঠিত করেছিলেন এবং সমাজের উন্নয়নেও অনেক ভূমিকা রেখেছিলেন। মরহুম কামালউদ্দিন কন্ট্রাকটার গত বছর এই দিনে করোনার সাথে যুদ্ধ করে আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন ।আর একজন তরুণ যুবদল থেকে উঠে আসা ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ এসকান্দর গত বছর এই দিনে সে করোনার সাথে যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করেন। এই দুই নেতার মৃত্যুতে এই ওয়ার্ডে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়।
তিনি ৩০ শে জুন, বুধবার, বাদ আছর চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন কন্ট্রাকটার ও ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ এস্কান্দারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল তাদের স্মরণে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে মরহুম দের স্মরণে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি ও ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন কন্ট্রাকটার এবং ওয়ার্ড বিএনপি’র তরুণ সাংগঠনিক সম্পাদক মরহুম এসকান্দর গতবছর এই করোনাকালে করোনার সাথে যুদ্ধ করে তাদের জীবন দিতে হয়েছে। এই ধরনের মৃত্যু কারো কাম্য নয়। দলের জন্য তাদের অবদান আজীবন আমরা স্মরণ রাখবো।
বেলুয়ারদীঘি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোক্তার আহমেদ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন। দোয়া ও মোনাজাতে মরহুম কামাল কামাল উদ্দিন কন্ট্রাকটার ও মরহুম এস্কান্দার এর জন্য মহান আল্লাহতালার দরবারে মাগফেরাত কামনা করেন এবং মহান আল্লাহ তায়ালা যেন তাদের জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করে সে দোয়া কামনা করেন।
দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আগামীকাল থেকে ৭ দিনের শাটডাউন কেমন হবে প্রশ্নের উত্তরে ডা.শাহাদাত হোসেন বলেন, লকডাউন, শাটডাউন যায় বলুন আগে গরীব-অসহায়, দিনমজুর ও দুস্থদের খাবার নিশ্চিত করতে হবে। করোনাকালে দীর্ঘ এক বছর সময়ে অধিক হওয়ার কারণে আজ সাধারণ মানুষ অসহায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণমানুষ ও মধ্যবিত্ত পরিবার। এক কথায় এই সরকারের অধীনে কেউ ভালো নেই। দুর্নীতি ও আমলাতন্ত্রের কারণেই আজ দেশের বেহাল অবস্থা। আপনারা গতকাল সংসদে ফিরোজ রশীদ ও তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যে কি বলেছে তা শুনেছেন। “রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতে নেই” আসলে এই কথাগুলো আমরা দীর্ঘ ১০বছর ধরে বলে আসছি, এতদিন পরে সরকারদলীয় সংসদ দের মুখে ফুটে এসেছে। দেরিতে হলেও তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। সরকার প্রশাসন ও আমলাতন্ত্র নির্ভর হওয়ার কারণে রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিরা মূল্যহীন হয়ে পড়েছে।
ডঃশাহাদাত হোসেন আরো বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই চট্টগ্রাম শহর ডুবে যায়।আজকেও দুজনের মৃত্যু হয়েছে দুই নম্বর মেয়র গলিতে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এই অবস্থা। জলাবদ্ধতা নিরসনে কোন অগ্রগতি নেই। এই সরকারের চলিত অর্থ বাজেটেও কোন দিক নির্দেশনা নেই জলাবদ্ধতা নিয়ে। চট্টগ্রাম শহরের মানুষ চরম দূর্ভোগে আছে, একদিকে করোনা অন্যদিকে জলাবদ্ধতা।
এ সময় উপস্থিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য এডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসীমউদ্দীন জিয়া, নগর যুবদলের সহ-সভাপতি নুর আহমদ গুড্ডু, ফজলুল হক সুমন, বিএনপি নেতা আজাদ বাঙালি, আরিফ মেহেদী, ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি খাজা আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান, বিএনপি নেতা মোঃ দিদার, যুবদল নেতা আসাদুর রহমান টিপু, মিজানুর রহমান বাবুল, শওকত খান রাজু,,সাইফুল আলম, আনোয়ার পারভেজ, আসাদুজ্জামান টুটুল, মোহাম্মদ শাহাদাত, মাহাবুব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।