
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত কিশোর রিপনের খোঁজ মেলেনি। দুই সপ্তাহেও রিপনের হদিস না মেলায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে চলেছে রিপনে পরিবারের।
রিপন অপহরণের ঘটনায় পুলিশ ৩জনকে আটক করলেও রিপনের হদিস পায়নি পুলিশ। অপহরণকারীদের মধ্যে একজন অপহরণের ঘটনার বিবরণ দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
আজ রবিবার রিপনের বাড়ীতে গেলে, রিপনের বাবা মঙ্গল সর্দ্দার, মা চন্দনা দাস ও দিদার আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে জেলে পাড়া। তারা রিপনকে ফিরিয়ে দিতে সরকারের কাছে আকুতি জানায়। রিপন কোথায় আছে, কেমন আছে, রিপনের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানতে চায় মা বাবা।
রিপনের বাবা মঙ্গল সর্দ্দার অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ অপহরণকারীদের আটক করলেও রিপনের ব্যাপারে কিছুই বলতে পারছে না। গত ২১ নভেম্বর কিশোর রিপন নিখোঁজ হলে এর ৩দিন পর রিপনের মা চন্দনা দাস বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।

২৭ নভেম্বর রবিবার ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৭/৩০ বোয়ালখালী থানায় মামলা নং ১৪ দায়ের করা হয়। ওইদিন উত্তর সর্দ্দারপাড়ার নেপাল সর্দ্দারের ছেলে লাবলু সর্দ্দার (৩৩) ও চিন্তা সর্দ্দারের ছেলে রঞ্জন সর্দ্দার (২৫)কে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে পুলিশ।
সন্ধ্যায় তাদের আদালতে হাজির করা হলে লাবলু সর্দ্দার ১৬৪ ধারায় চট্টগ্রামের আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজাউলের আদালতে অপহরণের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্ধি শেষে লাবলু সর্দ্দার (৩৩) ও রঞ্জন সর্দ্দার (২৫)কে জেল হাজতে নেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
জবানবন্দিতে লাবলু ২১ নভেম্বর অলিবেকারী সর্দ্দার পাড়ার মগদেশ্বরী মন্দিরের পুকুর পাড় থেকে সন্ধ্যায় রিপনকে অপহরণ করে ৬জনে মিলে উপজেলার জঙ্গল আমুচিয়ার পাহাড়ী উপত্যকায় আটকে রাখে বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। সে আদালতকে আরো জানায়, আমুচিয়ার গুচ্ছ গ্রামের পাহাড়ী এলাকার জনৈক শাহীনের খামার বাড়ীর একটি চৌচালা টিনের ঘরে রাতের বেলা এবং পাহাড়ী জঙ্গলে দিনের বেলা ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত আটকে রাখে।