চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, এম.এ. মান্নান একজন শুদ্ধাচারী রাজনীতিক ছিলেন। এখন আমরা মুখেমুখে ভাল মানুষ, আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের কেউ কেউ মুখে আদর্শিক ও আধ্যাত্মিক কথা বলেন। কিন্তু আচরণ গতভাবে তারা পাশবিক। এই পাশবিক থেকে মুক্তি না পেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ বির্সজিত হবে।
তিনি আজ সকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বিএলএফ এর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান ও মন্ত্রী মরহুম এম.এ মান্নানের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মরহুমের দামপাড়াস্থ কবরস্থান প্রাঙ্গনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন মরহুম এম.এ মান্নান পারিবারিক সূত্রে অনেক ভূ-সম্পত্তির মালিক ছিলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক স্থাপনায় এই ভূমিগুলো দান করে গেছেন। নিজে জীবন যাপন করতেন অত্যন্ত সাধারণভাবে। তার সঙ্গে যারা কাজ করেছেন এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন তারা অবশ্যই জানেন তিনি কর্মীবান্ধব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এম.পি-মন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি কোনো অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েননি। এই পথ আমাদেরকে অনুসরণ করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, এম.এ. মান্নান, আপাদমস্তক একজন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি একজন নির্লোভ ও নিরহংকারী রাজনীতিক নেতা ছিলেন। এম.এ. মান্নানকে খুব কাছ থেকে দেখেছি রাজনীতিতে তিনি সুদক্ষ কর্মী গঠনে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। তিনি অত্যন্ত রাজনৈতিক দূরদর্শী নেতা ছিলেন। যে কোনো সংকটে তিনি খুব সহজেই নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে পারতেন। তিনি আরো বলেন মরহুম এম এ মান্নান ছিলেন সৃজনশীল কর্মী সৃষ্টির কারিগর। তাঁর মত পরিশীলিত ও পরিশুদ্ধ রাজনীতিক হতে হবে এবং শিষ্টাচার, বিনয়, নম্রতা ও ধৈর্য্যশীল হয়ে যে কোন সংকট মোকাবেলায় সাহসীয় ভূমিকা রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, উপদেষ্টা আলহাজ্ব শফর আলী, কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল লতিফ টিপু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবুল বশর। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ সভাপতি এড. সুনীল কুমার সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হাসান মাহমুদ শমসের, এড শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, আব্দুল আহাদ, আবু তাহের, শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, হাজী বেলাল আহমেদ, থানা আওয়ামী লীগের কাজী আলতাফ হোসেন, আনছারুল হক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, সৈয়দ মো: জাকারিয়া, শামসুল আলম, আশরাফুল আলম, শেখ সোহরাওয়ার্দী, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, আবদুর রহিম, জানে আলম, ইকবাল হাসান, আবুল হাশেম বাবুল, মিথুন বড়ুয়া, ইকবাল চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, নাজিমুল ইসলাম মজুমদার প্রমুখ।
এছাড়া শ্রমিকলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভার প্রারম্ভে সকাল ৯টায় দামপাড়াস্থ আলাদী জমাদার জামে মসজিদে খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে মরহুমের কবরে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
