
চেক প্রতারণার অভিযোগে নগরীর আগ্রাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়ার গাড়ী ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাকে পুলিশ আদালতে হাজির করলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক সফিউদ্দিন তাকে জেল হাজতে পাঠনো নির্দেশ দিয়ে আগামীকাল বুধবার শুনানীর দিন ধার্য করেন।
গাড়ী বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি এপিপি রাশেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজ মামলা শুনানী হয়নি। আদালত পিডব্লিউ মূলে আগামীকাল শুনানীর দিন ধার্য করে আসামী আরিফুর রহমান সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য গাড়ি বিক্রির নামে প্রতারণার মাধ্যমে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও চেক প্রতারণা মামলায় নগরীর শেখ মুজিব রোড, তেজারত ভবনের ৪র্থ তলার একটি অফিস থেকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ডবলমুরিং থানা পুলিশ আরিফুর রহমান সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায় তার বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি ছিল।
আরও খবর: আগ্রাবাদ থেকে গ্রেফতার হলেন গাড়ি আমদানীকারক আরিফুর রহমান
গ্রেফতারকৃত আরিফুর রহমান রিকন্ডিশন গাড়ী আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান এন এইচ এন্টারপ্রাইজ এর কর্ণধার এবং পটিয়ার জঙ্গল খাইন ইউনিয়নের আলহাজ্ব মাহাবুবুর রহমানের ছেলে।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন- এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট রাশেদ চৌধুরী, এডভোকেট শাহাদাত। আসামী পক্ষে ছিলেন- এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল।
মামলার বাদী ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন পাঠক ডট নিউজকে বলেন, পারিবারিক কাজে ব্যবহারের জন্য একটি গাড়ি ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিলে আমার পূর্ব পরিচিত ও প্রতিবেশি আসামী আরিফুর রহমানের (যিনি নিজেকে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানীকারক ও গাড়ি বিক্রেতা হিসেবে পরিচয় দেন) সাথে একটি টয়োটা Allion কার মডেল-২০১৬ কেনার জন্য গাড়ীর মূল্য বাবদ ২৭ লক্ষ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হই এবং ২০১৯ সালের ১১ জুন নগদ ৭ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। একই দিন ইস্টার্ণ ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে আমার স্ত্রীর হিসেব থেকে ২০ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
চুক্তি অনুযায়ী দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তিনি গাড়ি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আমার ২৭ লাখ টাকা ফেরত দিবে বলে জানায়। সে মতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এন এইচ এন্টারপ্রাইজ নামে তার স্বাক্ষরিত উত্তরা ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার (হিসাব নং ০০১২২০০২১৬৬১৩) ২০ লাখ টাকার চেক দেন ২০ সালের ২০ আগষ্ট। অবশিষ্ট ৭ লাখ টাকা পরে দেবে বলে জানায়। কিন্ত তার দেয়া চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিঅনার হয়।
এনিয়ে অনেক দেন দরবার হলেও প্রতারক আরিফুর রহমান আমার টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মগোপন করে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হলেও সে টাকা ফেরত দেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে আমি আদালতে মামলা করি। তদন্ত শেষে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। আসামী আরিফুর রহমান ব্যবসার আড়ালে একজন প্রতারক। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার আরো মামলা রয়েছে।