কোরআন অবমাননা ও পূজামন্ডপে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেনীতে প্রতিবাদ সভায় ত্রিমুখী সংর্ঘের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন, মুসল্লী, সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও পথচারীসহ অন্তত অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠি চার্জ করার পাশাপাশি কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
শনিবার রাতে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডস্থ বড় মসজিদ ও প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী পাঠক ডট নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, পুলিশের কঠোর ভূমিকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।এরপরেও শহরে যে কোন ধরনের নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিবাদ মিছিল হওয়ার কথা ছিল। সে সময় ট্রাংক রোডের বড় মসজিদের সামনে কয়েকজন যুবক অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। তখন ফেনী থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ দুই পক্ষের মাঝামাঝি অবস্থান নেয়।
কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগ-যুবলীগের একটি মিছিল ওই স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় মসজিদের সামনের ওই যুবকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময়ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়।
এতে ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য, যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ডালিম, স্থানীয় একজন সাংবাদিকসহ ২৫-৩০ জন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, পূজামন্ডপে কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে ফেনী বড় মসজিদের সামনে থেকে আছরের নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল বের করে মুসল্লীরা। অপরদিকে পূজামন্ডপে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে নিকটবর্তী স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
এর কিছুক্ষণ পরেই সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বড় মসজিদের সামনে গিয়ে উপস্থিত হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ওসিসহ, মুসল্লী, সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও পথচারী সহ ৫০ জনের অধিক আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র্যাব লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।আহতদের মধ্যে যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ডালিম,ইকবাল বাহার ও ফজলুল হকসাবসহ কয়েকজনের পরিচয় জানা গেছে।
ফেনী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী এ ঘটনার জন্য সরকার বিরোধী অশুভ শক্তিকে দায়ী করেন।
