
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গেটওয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। মেরিটাইম সেক্টরে নেতৃত্ব দেবে চট্টগ্রাম বন্দর। সঠিক নেতৃত্ব পেয়েছি বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে। বন্দরে বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে ধর্না দিচ্ছে।
তিনি আজ রবিবার (২ ডিসেম্বর) নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকায় সার্ভিস জেটিতে বন্দরের জন্য কেনা কাণ্ডারী ৬ টাগবোট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে বন্দরে এসে আপনাদের সংকল্প দেখেছি দেশকে এগিয়ে নেওয়ার। বন্দরের অনেক সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে, সেগুলো পালন করেছে। এ বন্দর দেশের সব জনগোষ্ঠীর। শ্রমিকরা শ্রম দিয়েছেন, মুনাফা হয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সেই মুনাফার অংশ দিয়েছে।
১৯৭৪ সালে বাসন্তীকে জাল পরিয়ে ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে এমন মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল সপরিবারে। শিশু রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। কী নির্মম, কী পৈশাচিক। এ হত্যাকাণ্ড জায়েজ করতে জিয়া এরশাদ খালেদা অনেক অপকর্ম করেছে, কিন্তু পারেনি। লুটেরা, স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে অর্থনীতি তুলে দেওয়া হয়েছে। আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ড হয়েছে, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির চলমান আধুনিকায়ন কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে সার্ভিস জেটি নির্মাণ করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, সদস্য মো. জাফর আলম, সচিব মো. ওমর ফারুকসহ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বন্দরের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীকে সার্ভিস জেটি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন চট্টগ্রাম বন্দরের প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।