চট্টগ্রামে শশুর বাড়ীতে গলায় ফাঁস লাগানোবস্থায় রহস্যজনক নিহত গৃহবধূ লুবনা আক্তারের লাশ আজ সোমবার কবর থেকে তোলা হচ্ছে। হত্যা মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে পুণ:ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়।
সকাল ১০টায় নগরীর নগরীর চকবাজার থানাধীন কাজেম আলী স্কুল সংলগ্ন মিসকিন শাহ মাজার এলাকা কবরাস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হবে ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে।
নিহত লুবনা আক্তারের মা ও আদালতে দায়ের করা হত্যা মামলার বাদী মোছাম্মৎ রেহেনা সুলতানা লাশ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানাগেছে, ৬ বছর পুর্বে নগরীর বন্দর থানার নিউমুরিং দক্ষিণ হালিশহর এলাকার বাসিন্দ মো. জসিম উদ্দিনের কন্যার সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় নগরীর চন্দনপুরা সিরাজুদ্দৌলা রোডস্থ মাজার গলি এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ মাবুদুর রহমানের সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২ কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ের বয়স ৪ বছর এবং ছোট মেয়ের বয়স দেড় বছর।
নিহত লুবনার মা বলেন, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো।
এ অবস্থায় গত ১৬জুলাই শশুর বাড়ীর লোকজন যৌতুকের জন্য নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। পরে নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ডাক্তাররা মৃত ঘোষনা করেন। তারা এটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে লাশ দাফন করে ফেলে।
পরে আমরা জানতে পারি তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে আলামত ও সাক্ষী পাওয়ায় গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি। এতে আসামী করা হয় স্মামী মোহাম্মদ মাবুদুর রহমানসহ পরিবারের ৯জনকে। আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয় পিবিআইকে।
সর্বশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পুন:ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় পিবিআইকে। সে অনুযায়ী ২৬ ডিসেম্বর সোমবার আমার কন্যার লাশ কবর থেকে তোলা হবে তদন্তকারী পিবিআই কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে।
