
কোরবানির ঈদ ও ঈদ জামাতকে ঘিরে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৫ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নগরবাসীর পক্ষ থেকে সহযোগিতাও চায় পুলিশ। এজন্য নাগরিকদের কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এবারের ঈদুল আজহার জামাতকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে কোন ধরনের হুমকি নেই বলে মন্তব্য করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে সিএমপির মিডিয়া সেন্টারে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর এ তথ্য জানান।
ঈদ উদযাপন করতে গিয়ে রাতে উচ্চশব্দে গান বাজনার বিষয়ে পুলিশের কাছে কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুর বাজার ও চামড়া ক্রয়-বিক্রয়কালে নগরীতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদের আনন্দ সবাই উপভোগ করবে। বাসা খালি করে বা পুরো বিল্ডিং খালি করে কোথাও যেতে নিরুৎসাহিত করছি। বাড়ির সামনে পিছনে আলোকিত করে যাবেন। ‘আমরা এবারের ঈদে পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ৫টি বিষয় নির্ধারণ করেছি। সেগুলো হলো— কোরবানির পশুর নিরাপত্তা, বাস স্ট্যান্ড, নৌ ঘাট, রেলওয়ে ও মার্কেট কেন্দ্রীক নিরাপত্তা, ঈদ জামাতের নিরাপত্তা, পশুর চামড়া ক্রয় বিক্রয়ের নিরাপত্তা ও ঈদ পরবর্তী সময়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও আবাসিক এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’ পুলিশের নাইট পেট্রোল ও অতিরিক্ত টহলের ব্যবস্থা থাকবে। ঈদে দর্শনীয় স্থানগুলো খোলা থাকবে। প্রত্যেকের আনন্দ-উৎসবে অংশ নেওয়ার অধিকার আছে। তবে এটি যেন কখনোই সীমা ছাড়িয়ে না যায়। রাতে উচ্চশব্দে গান বাজনার বিষয়ে পুলিশের কাছে কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পশুবাহী ট্রাক জোরপূর্বক যেন কোনও হাটে কেউ নিতে বাধ্য না করতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সিএমপি। পাশাপাশি অনুমোদিত হাট ব্যতীত অন্য কোনও স্থানে যাতে কেউ পশুর হাট না বসাতে পারে এবং কোথাও যেন কেউ অবৈধ খুঁটির ব্যবসা করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পশুবাহী খালি ট্রাক ফেরত যাওয়ার সময় যাত্রী পরিবহন না করতে বলেছে সিএমপি।
সিএমপির অস্থায়ী সাব-কন্ট্রোল রুম রয়েছে— অলংকার বাস স্ট্যান্ড, নতুন রেলওয়ে স্টেশন, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল, একে খান মোড় ও কর্ণফুলী ব্রীজ গোল চত্বর এলাকায়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. শামসুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) সানা শামিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।