চট্টগ্রামে ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া মাদক ব্যবসায়ী হানিফকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। একইসঙ্গে তার ভাই হিজড়া ইয়াসিনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা পালিয়ে যাওয়ার সময় গতকাল মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে ভাটিয়ারি এলাকায় ঢাকামুখী একটি বাস থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, গত শনিবার রাতে ৫ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারের পর পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হানিফকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার সহযোগী ও তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন। তাদের ধরতে পুলিশ বিভিন্নভাবে তৎপরতা চালায়। পরে মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীতাকুণ্ডে ঢাকাগামী একটি বাস থেকে হানিফ ও তার ভাই ইয়াসিনকে গ্রেফতার করা হয়।
সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে হানিফ ও তার ভাই ইয়াসিনকে ভাটিয়ারি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি। সম্ভবত তারা নিজ এলাকা পটুয়াখালী অথবা ঢাকায় পালিয়ে যাচ্ছিল। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।’
এর আগে সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মৌলভীবাজার রেললাইন সংলগ্ন এলাকা থেকে ফাড়ির ইনচার্জ এসআই শরীফ রোকনুজ্জামানের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ওয়ারলেস সেটটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় কালুরঘাট পুলের গোড়ায় হানিফের বাসা থেকে চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রোকনুজ্জামান মাদক কারবারি হানিফ ও শরীফকে পাঁচ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।এর কিছুক্ষণ পরই কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে হানিফ ও শরীফকে ছিনিয়ে নেয় তার সহযোগিরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে হানিফ বাহিনীর সংঘর্ষ হলে হানিফের বোন নাজমা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন।
এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, ফাঁড়ি ভাঙচুর ও ইয়াবাসহ আটকের ঘটনায় দুটি মামলা করে পুলিশ। হামলার এজহার নামীয় ১৪জন ও অজ্ঞাত ২১০ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ ৮ জনকে আটক করে।