
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা: জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার রায় উপলক্ষে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ রায়কে ঘিরে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে কালো পতাকা মিছিল করেছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই আদালতে সরকারি আইনজীবী এবং মামলা সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আদালত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গত ২৭ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো: আছাদুজ্জামানের আদালত মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়।

দুদক আইনজীবীদের মতে, তারা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে আইনি লড়াই করতে পারেননি। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন দুদকের আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলাটি শুরু হয়েছে ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা দিয়ে কিন্তু পরবর্তীতে সব পর্যালোচনা করে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ১৮টা এক্সিবিটের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা তার অবৈধ উপার্জন এবং ৫৮ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। দুইটি ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১৩ বছরের সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আমরা তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা: জোবাইদা রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।
আইনজীবীরা জানান, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। পরের বছর তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।