
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বন্ধুর মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে মৃত্যুবরণ করেছেন আরেক বন্ধু। ৩ ঘন্টার ব্যবধানে একই বাড়ীর দুই যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরে দুই বন্ধুকে এক সঙ্গে দাফন কাফনের পর পাশপাশি কবর দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাটহাজারী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের আজিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
হাটহাজারী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম উদ্দীন বলেন, দুই বন্ধুর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। ঘটনাটি মর্মান্তিক।
জানা যায়, এলাকার মৃত মুছা সওদাগরের বড় ছেলে মোহাম্মদ আরাফাত (২৮) সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আরাফাতের মারা যাবার খবর শুনে একই বাড়ির বাল্যবন্ধু মোহাম্মদ আজম (২৭) সাড়ে ১১ টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। এ সময় পরিবারের লোকজন দ্রুত আজমকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। আজম একই বাড়ির মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (বাঘ)এর পুত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আজিম পাড়া এলাকার গ্রাম মাতব্বর ও আজিম পাড়া বাইতুল আজিম জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান লিটন।
তিনি আরো বলেন আরাফাত ও আজম বাল্যবন্ধু ছিল। আরাফাতের মৃত্যুর খবর শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এসময় আজম বন্ধুর ঘরে যায়। নিজ হাতে মৃত বন্ধু আরাফাতের লাশের মাথায় টুপি পড়িয়ে দেয়। পরে লাশ গোসলের প্রস্তুতি নেয়ার আগে বুকে ব্যথা করছে বলে জানান আজম। দ্রুত হাটহাজারী উপজেলার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিলে অবস্থা সঙ্কটাপন্ন দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করেন। পরে চমেকে নেয়ার পথেই দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মারা যান আজম। আজমের দুই ও তিন বছর বয়সের একটি ছেলে ও মেয়ে সন্তান রয়েছে।
আরফাত মেটালের দোকানে চাকুরি করত এবং আজম পেশায় সিএনজি চালক ছিল। পরে দুই বন্ধুকে নিজ এলাকার কালা চাঁন ফকির রহঃ, জামে মসজিদ কবরাস্থানে পাশাপাশি কবর দেওয়া হয়।