
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে সুধী সমাবেশে অংশগ্রহণ, ট্রেনে চড়ে রামু সফর, ৭টি বড় প্রকল্পসহ ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজার রেলস্টেশনে আয়োজিত সুধী সমাবেশ এবং মাতারবাড়ি টাউনশিপ মাঠে আয়োজিত জনসভায় এসব প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশে তিনি বলেন, আজকে রেলের সাথে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন।
সরকার প্রধান বলেন, কক্সবাজার এমন একটি সমুদ্র সৈকত, যেটা বিশ্বে বিরল, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। ৮০ মাইল লম্বা, সম্পূর্ণটাই বালুকাময়।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমরা যখন স্বাধীনতা অর্জন করি তখন ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষই দরিদ্র ছিল। পরনে ছিন্ন কাপড়, পেটে খাবার নেই, চিকিৎসা নেই, শিক্ষার ব্যবস্থা নেই, শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতিত মানুষ।
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর এ দেশের অগ্রযাত্রা থেমে যায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অস্ত্র হাতে নিয়ে বন্দুকে নলের সাহায্যে সেনা আইন লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা মানুষের ভাগ্য গড়তে আসেনি বরং আমাদের বিজয়ী পতাকা নষ্ট করা, স্বাধীনতার চেতনাকে নষ্ট করা, আমাদের যে আদর্শ সে আদর্শকে ধ্বংস করার জন্যই তাদের যাত্রা ছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে, নিজেরা অর্থশালী হয়েছে, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে। ঋণ খেলাপির কালচার শুরু করেছিল। তার ওপর সেনাবাহিনী-বিমানবাহিনীসহ আমাদের আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম, খুন করেছিল। এখনও সেই পরিবারগুলো তাদের আপনজনকে খুঁজে বেড়ায়। ২১টা বছর মানুষ এভাবে কষ্ট পেয়েছে। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।