ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রামে বিএনপির বিরুদ্ধে ৪৮ মামলায় ৭০০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ, হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে গত ১৫ দিনে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর দক্ষিণ জেলায় এ পর্যন্ত ৪৮টি মামলায় ৭০০ জনের বেশী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর মধ্যে মহানগরীর ১১ থানায় ১৬ মামলায় গ্রেপ্তার ৩৪০ জন, উত্তর জেলার আওতাধীন বিভিন্ন থানায় ১৯টি মামলায় ১৮০ জন এবং দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় ১৮০ জন নেতাকর্মী।

আজ শনিবার (১১ নভেম্বর ) সন্ধ্যা মহানগর বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. ইদ্রিস আলী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
১৫ দিনে নগরীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এসময়ে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ইকবাল চৌধুরীসহ এ পর্যন্ত ৩৪০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাট থানায় দায়ের করা মামলায় একই পরিবারের চার ভাইকে আসামি করা হয়েছে। তাছাড়া গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপির আরো ২০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই বিশজন সহ এ পর্যন্ত মোট ৩৪০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হলো। এসব মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে হুদা তোতন, মো. শাহ আলম, আহবায়ক কমিটির সদস্য আবুল হাশেম, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)র বিভিন্ন থানায় মামলাগুলো মধ্যে চান্দগাঁও থানায় ১টি, পাঁচলাইশ থানায় ১টি, বায়েজিদ থানায় ৩টি, আকবর শাহ থানায় ২টি, খুলশী থানায় ৩টি, পাহাড়তলী থানায় ১টি, ইপিজেড থানায় ১টি, কোতোয়ালী থানায় ১টি, হালিশহর থানায় ১টি, প‌তেঙ্গা থানায় ১টি ও সদরঘাট থানায় ১টি সহ মোট ১৬টি মামলা।

এদিকে উত্তর জেলায় শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে হাটহাজারী থানায় দায়ের করা মামলা সহ মোট মামলা হয়েছে ১৯টি। আর গ্রেপ্তার হয়েছেন ২১০ জনেরও অধিক। দক্ষিণ জেলায় ১৩টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় ১৮০ জন নেতাকর্মী।

এদিকে এক বিবৃতিতে সরকারের পদত্যাগের দাবীতে শান্তিপূর্ণ অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশের গণগ্রেপ্তার, মামলা ও গণবিরোধী আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতারা।

নেতৃবৃন্দ আগামীকাল রবিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বিএনপি’র ডাকা চতুর্থ দফা অবরোধ কর্মসূচি পুলিশের গণগ্রেপ্তার উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করার জন্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এধরণের গণ গ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপির নেতাকর্মীরা সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশের মধ্য দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। বিন্দুমাত্র বল প্রয়োগ না করেই ধৈর্য্যের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচি সফল করছেন। জনগণ বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হয়েছে দেখে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা আগের কায়দায় তাদের পেটোয়া বাহিনী পুলিশকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। ভূয়া, গায়েবি অভিযোগ তুলে পুলিশের সদস্যরা এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিরাতে তল্লাশির নামে হয়রানি করছে, পরিবারের সদস্যদের অকথ্য নির্যাতন করছে। পুলিশের কারণে বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন ঘরে থাকতে পারছে না। পেলেই গ্রেফতার করে বিভিন্ন গায়েবি মামলার আসামি করে দিচ্ছে। সক্রিয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিএনপির সমর্থকরা পর্যন্ত তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, চট্টগ্রামে নিজেরাই যানবাহনে আগুন দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। পুলিশের বাড়াবাড়ি নির্যাতন অতীতের যে কোনো সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। পুরো চট্টগ্রামকে যেন একটি অবরুদ্ধ কারাগার বানিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা পুলিশ বাহিনীর এ ধরনের আচরণের নিন্দা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে মাঠছাড়া করতে সরকারের অগণতান্ত্রিক নির্দেশে আপনারা যা করছেন, তা জাতি দেখছে। বাড়াবাড়ির পরিণাম অবশ্যই শুভ হতে পারে না। আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, আওয়ামী লীগের কর্মচারী নন। আপনারা আওয়ামী লীগের কর্মীর ভূমিকার অবতীর্ণ হবেন না। গায়েবি মামলা হামলা, গণগ্রেফতার নির্যাতন বন্ধ করুন। অন্যথায় জনতার আদালতে আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রামবাসীকে ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনতাই বিএনপির আন্দোলনের শক্তি। বিএনপি নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের এ আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। আসুন, এই একদলীয় ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে আমরা একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এই জুলুমের হাত থেকে চট্টগ্রামবাসীসহ দেশবাসীকে মুক্ত করতে আপনারা তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করুন। আমরা এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবোই।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print