
রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি :
ভারতের কাশ্মীরের পর্যটন স্পট ডাল লেকের হাউজবোটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন তিন বাংলাদেশী। তারা ৩ জন চট্টগ্রামের। এদের মধ্যে ২ জন গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী ও একজন ঠিকাদার বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন-চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন দাশ, রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশল ও ঠিকাদার মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন। পর্যটক হিসেবে তারা কাশ্মির বেড়াতে গিয়েছিলেন।
রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী লেলিন চাকমা মারা যাওয়ার বিষয়টি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন।

ভারতের অনলাইন গণমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া ডটকম এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শ্রীনগর পুলিশ নিহত তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করে জানিয়েছে, লেকের ৯ নম্বর ঘাটে ‘সাফিনা’ নামে একটি হাউজবোটে অবস্থান করছিলেন নিহত এই ৩ জন সহ মোট ৮ জন পর্যটক।
গতকাল শনিবার সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ডাল লেকের ৯ নম্বর ঘাটে একটি হাউসবোটে প্রথমে আগুন লাগে। দ্রুতই পাশের নৌকাগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কমপক্ষে পাঁচটি হাউসবোট পুড়ে গেছে।
আগুনে কয়েকটি নৌকা পুড়ে ভস্মিভূত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। ওই তিন বাংলাদেশি সাফিনা নামে একটি হাউসবোটে অবস্থান করছিলেন। নৌকাটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। আগুনে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন
পুলিশ জানিয়েছে,নিহতদের সাথে থাকা কাগজপত্র ও হাউজবোটে নিবন্ধিত ডকুমন্ট থেকে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগুনের কারণে ৫ টি হাউজবোট, আশেপাশের সাতটি বসত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানাগেছে চলতি মাসের ৩ নভেম্বর ভারতের গেছেন। শারীরিক চেকআপসহ আজমীর শরীফ হয়ে পরবর্তীতে তিনি কাশ্মীর গেছেন বলে তার অফিস সূূত্র জানিয়েছে।
অত্যন্ত প্রাণবন্ত স্বজ্ঝন ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশলের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। তিনি ৩০তম বিসিএস এর এই কর্মকর্তা এবং ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত ও দুই সন্তানের(এক ছেলে ও এক মেয়ে) জনক বলে জানাগেছে।