
জেলার রাউজানে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে সরকার দলীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক মারধরের শিকার হয়ে প্রবাসী বিএনপি নেতা আবু মুসার (৪৫ ) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৪ মার্চ) নিহত আবু মুসার ছোট ভাই মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সোহেল (৩৮) বাদী হয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/৩৪১/৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় দায়েরকৃত এই সি আর মামলায় ১৪ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন , শাহাজাহান ইকবাল (৪৫) নাজিমুদ্দিন প্রকাশ টেক্সি নাজিম (৪৫) , মনিরুল ইসলাম (৩৫) , আব্দুল লতিফ প্রকাশ চড়াই (৫০), সাইফুদ্দিন বাবর(৪০), মোঃ আবুল কাশেম প্রকাশ কাশু (৩৫), নুরু আলম (৩৫), জসিম উদ্দিন হিরূ (৫২), নাছির উদ্দিন (৩৮), মোঃ আলমগীর (৪০), জিয়া উদ্দিন বাবলু (৩৫ ), মইনুদ্দিন (৩৫), মোঃ হায়দার (৩৮ ), মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৪০ ) ।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ বলেন “আদালত এই মামলাটি আমলে নিয়ে উক্ত তারিখ এবং সময়ে রাউজান থানায় এই সংক্রান্ত কোনো নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে কিনা সেটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ” ।
মামলার বাদী নিহতের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান সোহেল বলেন, ” আমার সম্পূর্ণ নিরীহ ভাইকে প্রকাশ্যে দিবালোকে পবিত্র মসজিদ প্রাঙ্গনে হাজারো মুসল্লির সামনে পিটিয়ে হত্যা করেছে এই সন্ত্রাসীরা । আমি এর বিচার চাই , তাই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি ।
উল্লেখ্য, ওমান প্রবাসী নিহত বিএনপি নেতা মুসা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান ও রাউজান- রাঙ্গুননীয়ার সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ওমান থেকে এসে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিজের পিতা-মাতার কবর জিয়ারত করতে রাউজানে গিয়ে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যাপক মারধরের শিকার হয়ে তিনি নিহত হন ।