
বিএনপিকে দুর্বল ও তৃণমূল নেতৃবৃন্দকে মানসিকভাবে হয়রানি করতেই চট্টগ্রামে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবসার কল্পকাহিনী ছড়ানোর হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে মহানগর বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নেতরা।
সম্প্রতি একটি দৈনিকে গোয়েন্দা সংস্থার বরাত নিয়ে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করসহ চারজন নেতাকে অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা: শাহাদাত বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই হামলা, মামলার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মানসিক নির্যাতন করছে। তারই অংশ হিসেবে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ চারজন নেতাকে অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়ানোর চেষ্টা করছে এবং বিএনপিকে নির্মূল করে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে নানাবিধ অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে সরকার।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিএনপির দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও সুস্থ্য ধারার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে ছাত্রদল ও যুবদলের তৃণমূল স্তর থেকে উঠে আসা। তাকে অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে গোয়েন্দা সংস্থা যে তথ্য উল্লেখ করেছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা, কাল্পণিক ও ভিত্তিহীন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নগর বিএনপির সাধারণ আবুল হাশেম বক্কর ছাড়াও স্বেছাসেবক দল নেতা এস কে খোদা তোতন, সাবেক ছাত্রদল নেতা টিংকু দাশ, শাহ আলম, শওকত আজম খাজার নামও উদ্দেশ্যমূলকভাবে তালিকায় রাখা হয়েছে।
ডা. শাহাদাত বলেন-‘চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সরকারদলীয় সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা যেভাবে প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করছে, তাদের কোন বিচার হচ্ছে না। কারা অস্ত্র ব্যবসা করে সবাই জানে। তাদের নাম তালিকায় আসুক।
তিনি অবিলম্বে কথিত অস্ত্র ব্যবসায়ির তালিকা থেকে বক্করসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম বাদ দেয়ার দাবী জানান। অন্যথায় রাজনৈতিকভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁসিয়াারী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দিন,নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন দীপ্তি,ছাত্রদল সভাপতি গাজী সিরাজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।