
চট্টগ্রাম নগরীর সেগুনবাগান তালীমুল কুরআন মাদ্রাসা থেকে ইসমাম হায়দার (৮) নামের এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছেন।
বুধবার রাতে নিহতের বড় ভাই নাঈম উদ্দিন বাদি হয়ে ৩ শিক্ষকের নাম উল্লেখ্য করে আরো ৪ অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরিবারের দাবী তাদের শিশুপুত্র ইসমাম হায়দাকে হত্যার পর মাদ্রাসার শিক্ষকরা লাশ গুম করার চেষ্টা করেছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পরদিন (বুধবার) রাতে নিহত ইসমাম হায়দারের বড় ভাই বাদী হয়ে নগরীর খুলশী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সেগুনবাগান তালীমুল কুরআন মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ আবু তাহের প্রকাশ নীলা হুজুরকে প্রধান আসামী করে তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার অপর দুই আসামী হলেন- হাফেজ আব্দুল হক এবং হাফেজ আবু বক্কর। এরাও উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যে আমরা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্যঃ গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানাধীন ওয়ারলেস কলোনির সেগুনবাগান তালীমুল কুরআন মাদ্রাসা থেকে হেফজ বিভাগের ছাত্র ইসমাম হায়দারের (৮) লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইসমাম বাঁশখালী উপজেলার চানপুর পশ্চিম নাকমোড়ার নাজিম উদ্দিনের ছোট ছেলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বাকলিয়া থানার দেওয়ানবাজার মাদরাসা ভবন এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
জানা যায়, ইসমামের পরিবার তার খোঁজে মাদরাসায় গেলে কর্তৃপক্ষ জানায় ইসমাম নিখোঁজ। পরে পরিবার এসে মাদরাসায় তল্লাশি চালিয়ে বিছানার নিচ লেপ তোষকে মোড়ানোবস্থায় ইসমামের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
*সেগুনবাগানে মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার: এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
*তালীমুল কুরআন মাদ্রাসায় ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন পালিত