
চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা পর আলামত নষ্ট করতে তড়িঘড়ি লাশ দাহ করে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নে ধনা সেন (১৮) নামের এব যুবককে গতকাল মঙ্গলবার পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় ইউপি সদস্য শ্যামল দে কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নিহতের ভগ্নিপতি রাজু কর বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পটিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ জানান, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত মেম্বারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় জানাগেছে, উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সেনপাড়া এলাকায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার শ্যামল দে’র ভগ্নিপতি সাজু দের স্টুডিও দোকানে চাকুরি করতো ধনা সেন।
মামলার বাদী জানান, বছর খানেক আগে তিনি ওই দোকানের চাকুরি ছেড়ে দিয়ে উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ এলাকায় একটি পেপার মিলে চাকুরি নেন। বর্তমানে তিনি চাকুরি ছেড়ে দিয়ে বেকার জীবন-যাপন করছেন। তিনদিন পূর্বে মেম্বারের ভগ্নিপতির স্টুডিও দোকানটি ২ লক্ষ টাকায় কেনার জন্য মেম্বার শ্যামল ও ভগ্নিপতি সাজুর সাথে ধনা সেনের কথা হয়।
গত সোমবার দোল পূর্নিমা উপলক্ষে কেলিশহর ইউনিয়নের সেনপাড়া এলাকায় মহোৎসব ছিল। নিহত ধনা সেন মহোৎসবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন শেষে ভোর রাত চারটার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে মেম্বার শ্যামল দে ও তার ভগ্নিপতি সাজু দের সাথে দোকান কেনার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার বাড়ির পেছনে ইউপি মেম্বার শ্যামল দের নেতৃত্বে ৫-৬ যুবক মিলে ধনা সেনকে পিটিয়ে হত্যা করে।
পরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিহতের মায়ের কাছ থেকে টিপসই নেয় ইউপি মেম্বার শ্যামল দে। প্রচার করা হয় ধনা সেন আত্মহত্যা করেছেন। এবং স্থানীয় শশ্মানে ইউপি সদস্য শ্যামল দের নেতৃত্বে নিহত ধনা সেনকে দাহ করে ফেলা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পটিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহর নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত মেম্বার শ্যামলকে আটক করে।