সীতাকুণ্ড(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আইসক্রিম কারখানায় অভিযানে চালিয়ে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপকরণ দিয়ে আইসক্রীম তৈরীর অভিযোগে মালিক মো. ইদ্রিসকে ১ মাসের কারাদন্ড এবং অর্ধলাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অাজ মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে সীতাকুণ্ডের পৌরসভার দক্ষিন ইদিলপুর এলাকায় “রূপালী আইসক্রীম” ফ্যাক্টরীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
তিনি পাঠক ডট নিউজকে জানান, অভিযানকালে দেখা যায়, নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঘনচিনি, সাইট্রিক এসিড, কাপড়ের রঙ, এরারুট, বিভিন্ন রং ব্যবহার করে চকবার, কুলফি, লেমন কোকোনাট আইসক্রিম বানানো হচ্ছে। ক্ষতিকর ঘনচিনির ব্যবহার করে তৈরী করা হচ্ছিল চকবার, ললিপপ, কোকোনাট আইসক্রিম।

“আদালতঃ উপাদানে লিখেছেন সুগার, ফুড কালার আছে চকবারে। আপনার কারখানায় চিনিও নাই ফুড কালারও নাই। দেখানোর জন্য হলেও সামান্য চিনি কি রাখা যেতো না??
মালিকঃ কাজটা ঠিক হয় নাই স্যার, চিনি কিনতে লোক পাঠাচ্ছি এখনই।
আদালতঃ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন-২০০৯ এর ৪২ এবং ৪৫ ধারা লংঘন করেছেন।
মালিকঃ বুঝলাম কাজটা অন্যায় হয়েছে।আর করব না।
আদালতঃ ঘনচিনি যে চিনি না,তা তো জানেন??
মালিকঃ জ্বি শুনেছি এটা ঠিক না।
আদালতঃ আপনি নিজে এক মুঠ খান তো।
খাওয়ার পর মালিকঃ স্যার গলা জলতেছে পানি খাবো।”
অভিযানকালে মালিক ইদ্রিসকে ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহারের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, তার দুইটা মেশিন একটাতে নিজে বানান আরেকটা কবীর নামের আরেকজনকে ভাড়া দিয়েছেন। ঘনচিনি খারাপ তিনি আর ব্যবহার করবেন না উল্লেখ করে ক্ষমা চান মালিক।

উল্লেখ্য যে গত গরমের মৌসুমেও তিনি মুচলেকা দিয়েছিলেন তাই এইবার তিনি রং ব্যবহার না করলেও ঘনচিনি ব্যবহার করছেন। ক্ষতিকর ঘনচিনি ব্যবহারের কারনে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এসময় দেড় হাজার আইসক্রিম ধ্বংস করা হয়। ঘনচিনি, রঙ এবং বিভিন্ন ক্যামিকেল ধ্বংস করা হয় এবং কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়।
একই কারখানার অপর অংশীদার মো কবির জানান, তিনি ছয় মাসের জন্য মেশিন ভাড়া নিয়েছেন। ক্ষতিকর ঘনচিনি, কাপড়ের রঙ ব্যবহারের জন্য তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।