
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন অর্থহীন। আওয়ামীলীগ উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়ে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারকে কফিন বন্দী করে ক্ষমতাকে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র করছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে আওয়ামীলীগ নেতারা বিদেশে পাচার করেছে। দেশে দূর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব চলছে।
মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন সোহেলের শোকসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
১৯ মে শুক্রবার বিকালে জালাল উদ্দীন সোহেল স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে নগরীর পাহাড়তলী সাগরিকা স্কয়ারে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
নোমান বলেন, আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপলদ্ধি করতে পেরেছেন নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগের ভরাডুবি হবে এবং দূর্নীতির মাধ্যমে যারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে তাদেরকে পালিয়ে বেড়াতে হবে।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি প্রতিযোগীতার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই। আপনার সহায়ক সরকারের দাবী মেনে নিয়ে নির্বাচন দিন জনগণ যদি আমাদেরকে নির্বাচিত করে আমরা আপনাদের মত প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে কিছু করবো না। আইনকে আমরা স্বাভাবিক গতিতে চলতে দেব, আপনাদের মত প্রভাবিত করবো না।
নোমান আরো বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ১০টাকা কেজিতে চাল দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিল আর বর্তমানে মোটা চালের কেজি ৫০টাকা। দেশে নীরব দূভিক্ষ চলছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ছাড়া সাধারন মানুষ ৫০টাকা কেজিতে চাল কিনে ২ বেলা এখন খেতে পারছে না। গরীব মানুষেরা ২ বেলার পরিবর্তে খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করে অনেকেই এখন এক বেলা খাচ্ছে। হাওড় অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় চলছে আর সরকার নীরব ভূমিকা পালন করছে।
সরাইপাড়া ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক হাজী বাবুল হকের সভাপতিত্বে ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বিএনপি ঘোষিত ভিশন-২০৩০ আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম সোপান। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভিশন-২০৩০ এর মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধিশালী দেশে পরিণত করবে।
সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ছাত্রদল নেতা জালাল উদ্দীন সোহেলকে একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে অভিহিত করে নোমান বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা তথা চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছাত্রদলকে সংগঠিত করতে সোহেল নিরলসভাবে কাজ করেছে। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সে সবসময় অগ্রভাগে থাকত এবং অনেক মামলা, হামলারও শিকার হয়েছেন। তার মত নিবেদিত প্রাণ ও দক্ষ ছাত্রদল নেতার অকাল মৃত্যুতে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়।
তিনি জালাল উদ্দীন সোহেলের আদর্শকে ধারণ করে সংগঠনকে শক্তিমালী করে গড়ে তোলার জন্য বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
শোকসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাক্তার শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, মহানগর বিএনপির সিনিয়ন সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, সাবেক কাউন্সিলর শামসুল আলম, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন দিপ্তী, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদুল আলম রাসেল, আবদুল মান্নান, বিএনপি নেতা জসীমউদ্দিন জিয়া, মোশারফ হোসেন ডিপটি, কামাল উদ্দিন কন্ট্রাক্টর, ইকবাল হোসেন, এস.এম. ফরিদুল আলম, জাহাংগীর আলম, দিদারুর রহমান সুমন, কাজী শামসুল আলম, জেসমীনা খানম প্রমুখ।