ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

২শ’ টাকার জন্য লিটনকে হত্যা করে ঘাতক

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

মাত্র ২০০ টাকার জন্য নির্মমভাবে লিটন নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যার পর লাশ একটি দোতলা ভবনের ছাদে কংক্রিটের স্তূপের মধ্যে লুকিয়ে রাখে ঘাতক মো. ইসমাইল (২৪)। গ্রেফতারের পর আজ বুধবার বিকালে খুনের দায় স্বীকার করে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়ার আদালতে জবানবন্দি দেয়াকালে এ তথ্য জানায় ইসমাইল।

মামলার তদন্ত কমর্কতার্ পতেঙ্গা থানার এস আই মনিরুল ইসলাম আদালতে জবানবন্দি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতকে ইসমাইল জানায়, লিটনের কাছ থেকে ২০০ টাকা ধার নিয়েছিলাম। বারবার তাগাদা দিয়েও সেই টাকা উদ্ধার করতে না পেরে লিটনকে খুন করার পরিকল্পনা করি। এক রাতে গাঁজা খাইয়ে লিটনকে নেশাগ্রস্ত করে গলায় ছুরিকাঘাত করে খুন করি। এরপর তার মরদেহ কংক্রিটের স্তূপের মধ্যে লুকিয়ে রাখি।

আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে ইসমাইল আরো জানান, একসাথে গাঁজা খেতে গিয়ে দুজনের পরিচয়। ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে তার কাছ থেকে ২০০ টাকা ধার নেন লিটন। টাকা খুঁজলে লিটন ইসমাইলকে গালিগালাজ করত। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এবং পাওনা টাকা আদায়ে ইসমাইল লিটনকে খুনের পরিকল্পনা করে ৮০ টাকা দিয়ে একটি ছোরা কিনেন।

গত ২১ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে লিটনকে গাঁজা খাওয়ার জন্য ডেকে নেয় ইসমাইল। তারা দুজন গাঁজা খাওয়ার জন্য মাইজপাড়ার ঢাকাইয়াদের বাড়ির দোতলার উপর ছাদে উঠে যান। সেই ভবনের পাশে একই মালিকের টিনের ঘরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে ইসমাইল ।

ছাদে উঠে ইসমাইল লিটনকে গাঁজার পুরিয়া দেয়। লিটন গাঁজা তৈরি করার সময় ইসমাইল নিচে নেমে ঘর থেকে ছোরা নিয়ে আসে। এরপর দুজনের গাঁজা খাওয়া শুরু করে, তবে ইসমাইল কম খায়। দুই ঘন্টা গাঁজা সেবনের পর লিটন যখন নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তখন ইসমাইল তার শরীর টিপে দেয়ার কথা বলেন। এই সুযোগে রাত ১১টার দিকে ইসমাইল লিটনের গলায় ছোরা দিয়ে টান দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় লিটন।

এরপর লিটনের মরদেহ কোমড় পর্যন্ত একটি কালো পলিথিনে ঢুকিয়ে আরেকটি সাদা পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে দেন ইসমাইল। তবে পা দুটো বের হয়েছিল। বৃষ্টি আসায় রক্ত গড়িয়ে পড়ে ছাদে। ইসমাইল বৃষ্টিতে ভিজে ছাদের উপর স্তূপ থেকে কংক্রিট সরিয়ে লিটনের মরদেহে সেখানে ঢুকিয়ে রেখে আবারও কংক্রিট চাপা দেন। লিটনের পকেট থেকে ৩৩০ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে ইসমাইল নেমে যান।

পরদিন রাত ২টার দিকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও তার রক্তাক্ত গেঞ্জি, রুমাল, সিগারেটের প্যাকেট নিজের ঘরে এনে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন ইসমাইল। এর পরদিন মোবাইল ছাড়া বাকি সবকিছু মাইজপাড়ায় একটি পুকুরের মধ্যে ফেলে দেন। ২৩ জুন সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সিম ফেলে দিয়ে মোবাইলটি বিক্রি করে দেন ইসমাইল।

এদিকে ঈদের দিন ২৬ জুন সোমবার বিকালে এলাকার লোকজন দুর্গন্ধ পেয়ে মাইজপাড়াস্থ আয়েশা সিদ্দিকা স্কুলের পূর্ব পাশে ঢাকাইয়ার ভবনটির (২য় তলা) ছাদ থেকে লিটনের পঁচাগলা লাশটি উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। লিটন (৩৫) পেশায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। তিনি সিলেট জেলার বিশ্বনাথ থানার ধরারাই গ্রামের রজব আলীর পুত্র।

এ ঘটনায় পরদিন মঙ্গলবার রাতে একই এলাকা থেকে ঘাতক ইসমাইলকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত ছুরি।

মামলার তদন্ত কমর্কতার্ পতেঙ্গা থানার এস আই মনিরুল ইসলাম বলেন, লিটনকে খুনের ৫দিন পর ঈদের দিন বিকেলে আমরা তার মরদেহ মাইজপাড়ার একটি ভবনের ছাদ থেকে তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করি। এরপর বিভিন্ন সূত্রের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইসমাইলকে পতেঙ্গার কয়লারহাট বাজারে তার শ্বাশুড়ির বাসায় থেকে গ্রেফতার করি।

*পতেঙ্গা রাজমিস্ত্রী লিটনের বস্তাবন্দি গলাকাটা লাশ উদ্ধার

 

 

 

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print