
বছর ঘুরে আবারও এল স্মরণকালের মর্মান্তিক ট্রাজেডির দিন ১১ জুলাই। কালের স্রোতে হারিয়ে গেছে মিরসরাই ট্রাজেডির ৬ বছর। বাংলার বুকে সবচেয়ে ভয়াবহ মিরসরাই ট্রাজেডির ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। সেই ভয়াবহ করুণ ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১১ সালের ১১ জুলাই সোমবার দুপুরে দেখেছিল পুরো বিশ্ব।
উপজেলার বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে মিনিট্রাক ডোবায় উল্টে গিয়ে ৪৩ জন ছাত্র সহ ৪৫ প্রাণের অকাল মৃত্যুর বিনিময়ে রচিত হয় মিরসরাই ট্রাজেডি নামক একটি করুণ অধ্যায়ের। যা আজও সন্তান হারা পিতামাতারা প্রিয় পুত্রকে হারানোর বেদনা ভুলতে পারছেন না। পিতামাতারা পুত্রের রেখে যাওয়া স্মৃতির মাঝে খুঁজে বেড়ায় হারানো সন্তানকে। মিরসরাই ট্র্যাজেডি দুর্ঘটনাস্থলে ৫ বছর পর নির্মাণ হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ ‘অন্তিম’।

আজ মিরসরাই ট্রাজেডির বার্ষিকীতে বিভিন্ন সংগঠনের রয়েছে কর্মসূচি। আবুতোবার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, এবারে ট্রাজেডির দিবসে সকাল ১০ টা থেকে খতমে কোরআন ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য ভিন্ন প্রার্থনার আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে।
আবুতোরার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাফর সাদেক জানান, সকাল ৮টায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা, সকাল ৯টায় কালো ব্যাজ ধারণ, সকাল ১০টায় শোক র্যালি, ১০.৩০ আবেগ থেকে অন্তিমে গিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ, সকাল ১১টা থেকে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা। দুপুর ১২টায় জেয়াফত অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভিসি প্রফেসর ঈসমাঈন খান, বিশেষ অতিথি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াসমিন শাহীন কাকলী, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন আরিফ, মায়ানী ইউপি চেয়ারম্যান কবির নিজামী প্রমুখ।
এছাড়া পৃথক কর্মসূচি রয়েছে প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজ ও আবুতোরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ের। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য শেখ আতাউর রহমান বলেন, এই মীরসরাই ট্র্যজেডি একটি দুঃসহ কান্নার নাম। আজো পরিবারে স্বজনহারাদের শোকার্ত মুখগুলোর বুকে ঝরবে কান্না। আমাদের সকলের কামনা এমন মর্মান্তিক ঘটনার যেন আর কোনদিন না ঘটে।